logo

Tag

হা স না ত আ ব দু ল হা ই

চিত্র প্রদর্শনীর রাজনৈতিক সংস্কৃতি

হা স না ত  আ ব দু ল  হা ই এক আন্তর্জাতিক চারুশিল্পের প্রদর্শনীর আয়োজন একসময় শিল্পোন্নত পাশ্চাত্যের দেশগুলির সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের একচেটিয়া বিষয় হয়ে ছিল। ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে ১৯৫১ সাল থেকে আয়োজিত বিয়েনিয়াল (দ্বি-বার্ষিক) প্রদর্শনী হিসাবের বাইরে রাখলে, গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে আন্তর্জাতিক চারুশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজনে পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী দেশগুলির আধিপত্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়। উন্নয়নশীল যেসব দেশ বর্তমানে আন্তর্জাত
Read More

সুলতানের জীবনে ড্রয়িং

হা স না ত  আ ব দু ল  হা ই   প্রাচ্য ছবির প্রাণ হলো রেখা। রেনেসাঁ ও তারই ধারাবাহী পাশ্চাত্য ছবিতে রেখা বলতে কিছু নেই; আলোছায়াই তার প্রাণ। নন্দলাল বসু -দৃষ্টি ও সৃষ্টি   শিল্পের শুরুতেই অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হিসেবে থাকে ড্রয়িং। এর অবর্তমানে কোনো কিছুই হয় না। জর্জিও ভাসারি -লাইভস্ অব আর্টিস্টস   এক   দুটি উক্তিতে আপাতদৃষ্টিতে সামঞ্জস্য নেই, বরং বিরোধের আভাস রয়েছে। কিন্তু আলোছায়া দিয়েও ড্রয়িং আঁকা যায়, একথা
Read More

চলচ্চিত্রের নান্দনিকতা : রূপতত্ত্বের ভাষা

হা স না ত  আ ব দু ল  হা ই রূপতত্ত্ব (ফর্মালিজম) সাহিত্যের সমালোচনায় বস্ত্তগত ভিত্তির অনুসন্ধান রূপতত্ত্বের (ফর্মালিজম) জন্ম দেয়। বিংশ শতকের প্রথমদিকে রাশিয়ায় এর সূচনা। এর মাধ্যমে ক্লাসিকধর্মী সাহিত্যের যেমন রসোপলব্ধি সম্ভব হয় বলে ভাবা হয়েছে, একই সঙ্গে এর সাহায্যে সাহিত্যে আধুনিকতার ধারারও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় বলে দাবি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এরই প্রতিধ্বনি বা ছায়া দেখতে পাওয়া যায় আমেরিকায় অনুসৃত ‘নিউ ক্রিটিসিজমে’ এবং ই
Read More

চলচ্চিত্রের নান্দনিকতা : নারীবাদী ভাষা

হা স না ত  আ ব দু ল  হা ই ১৯৭০-এর দশকে ফিল্ম স্টাডিজে যেসব সামাজিক-সাংস্কৃতিক আলোচনা (ডিসকোর্স) প্রাধান্য পায় তার মধ্যে নারীবাদী ধারণা অন্যতম। প্রতিনিধিত্ব (রিপ্রেজেন্টেশন), দর্শকের ভূমিকা (স্পেকটেটরশিপ) এবং লিঙ্গ পার্থক্য ইত্যাদি সম্পর্কিত জটিল তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিস্তৃত পরিধিতে ফিল্ম স্টাডিজের বিষয় বিবেচিত হয়। নারীবাদী তত্ত্বের প্রেক্ষিতে ‘ফিল্ম স্টাডিজকে’ একইসঙ্গে বলা যায় একটি সমালোচনাসূত্র এবং চিত্র নি
Read More

চলচ্চিত্রের নান্দনিকতা : সম্পাদনার ভাষা

হা স না ত  আ ব দু ল  হা ই   গ্রিফিথ, পুডোভকিন ও আইজেনস্টাইন   যদিও সম্পাদনা বর্তমানে বেশ অতিরঞ্জিত মনে হবে, পুডোভকিন উল্লিখিত পদ্ধতির ব্যবহার করে বেশ ভালো ফল লাভ করেছিলেন। গ্রিফিথের নির্বাক ছবির সঙ্গে তাঁর ছবিগুলির তুলনা করলেই এটা বেশ বোঝা যায়। গ্রিফিথের ন্যারেটিভ যেখানে অভিনেতার নড়াচড়া ও আচার-আচরণের মাধ্যমে দর্শকের কাছে উপস্থাপিত হয়েছে, পুডোভকিন সেখানে সতর্ক ও নিপুণভাবে পরিকল্পিত ডিটেইলসের সাহায্যে ‘সিন’ তৈরি করেন এ
Read More

চলচ্চিত্রের নান্দনিকতা : সম্পাদনার ভাষা

হাসনাত আবদুল হাই আমেরিকায় সিনেমার জন্য তোলা শটগুলিকে যুক্ত করার প্রক্রিয়াকে বলা হয়েছে সম্পাদনা (এডিটিং) বা কাটছাঁট (কাটিং) করা। ইউরোপে এর নামকরণ হয়েছে ‘মন্তাজ’। আমেরিকায় ‘এডিটিং’ শটের মধ্যে যেসব কাহিনি বর্ণনায় (ন্যারেটিভে) অপ্রয়োজনীয় সেসব বাদ দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেয়। সম্পাদনায় কাঁচামালকে (ফিল্ম ফুটেজ) বাছাই করে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হয়। ‘মন্তাজ’ বলতে বুঝিয়েছে কাঁচামাল নিয়ে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া। হলিউডের ক্লাসিক এডিটিং স্টাই
Read More

চলচ্চিত্রের নান্দনিকতা : কারিগরি ভাষা

হা স না ত  আ ব দু ল  হা ই সিনেমার ভাষায় প্রধান নির্ভর বা উপকরণ সচল ভিস্যুয়াল ইমেজ। বলতে গেলে এটিই তার আদি ও নিজস্ব ভাষা। ক্যামেরা দিয়ে ফ্রেমের ভেতর শট নিয়ে এই ইমেজ সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। ইমেজে সিনেমার চরিত্ররাই (কাহিনিচিত্রে) প্রাধান্য পায়। নানা পরিবেশে এবং নানা ভঙ্গিতে তাদের দেখানো হয়। তাদের চলাফেরা, সংলাপ এবং মুখের ভাষা দিয়ে কাহিনির মূল প্রবহমানতা নিশ্চিত করা হয়। অনেক সময় আবহসংগীত এবং দৃশ্যের অন্তর্গত বস্ত্ত বা নিসর্
Read More

চলচ্চিত্রের নান্দনিকতা : সাংকেতিক ভাষা

হা স না ত  আ ব দু ল  হা ই অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও সিনেমাকে লিখিত ভাষার মতোই একটি যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়েছে। এই জন্য ভাষা সম্বন্ধে যে বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৃ-তত্ত্ববিজ্ঞানভিত্তিক ধ্যান-ধারণা তৈরি হয়েছে, সেসব সিনেমার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়েছে। ‘সেমিওটিকস’ তত্ত্বের মাধ্যমে সকল যোগাযোগ (কম্যুনিকেশন) মাধ্যমের যিনি প্রথম বিশ্লেষণ করেন, ফার্দিনান্দ সস্যুর, তাঁর ভাষায় : ‘সমাজে ব্যবহৃত চিহ্ন বা সংকেত (সাইন) সম্বন্ধে বিজ্ঞান
Read More

চলচ্চিত্রের নান্দনিকতা সচল দৃশ্যকল্প

হা স না ত  আ ব দু ল  হা ই সিনেমা বিভিন্ন শিল্পের ভিত্তিতে তৈরি। যেমন, ফটোগ্রাফি, সঙ্গীত, চিত্রকলা, সাহিত্য ইত্যাদি। সিনেমাকে যদি বলা হয় সচল শব্দসংবলিত দৃশ্যকল্প তাহলে এর সামগ্রিক ভাষা সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। ভূমিকায় বলা হয়েছে, এই সামগ্রিক ভাষা একসঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে সিনেমার নান্দনিকতার বিচার করা যায়। এটি বেশ জটিল এবং অনুশীলনসাপেক্ষ। অভিজ্ঞ সমালোচক কিংবা বোদ্ধা দর্শকের পক্ষে এটা বিচার করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিযো
Read More

চলচ্চিত্রের নান্দনিকতা : ভূমিকা

হা স না ত  আ ব দু ল  হা ই কনিষ্ঠতম হয়েও চলচ্চিত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পমাধ্যম হিসেবে অবিসংবাদিত। শুধু সময়ের নিরিখেই নয়, প্রযুক্তির ব্যবহারে, কলাকুশলতায় এবং বৈচিত্র্যের গুণে একে আধুনিকতম বলেও স্বীকার করতে হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে যা হয়, কনিষ্ঠরা জ্যেষ্ঠদের অভিজ্ঞতা থেকে, বিশেষ করে ভুলত্র“টি দেখে, তাদের কর্মকাণ্ড সংশোধনের যে সুযোগ পেয়ে থাকে, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। শেষে এসে পৌঁছলে বিব্রত বোধ করার বিপন্ন
Read More