শিল্প ও শিল্পী ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা বেরোল। চিত্রকলা বিষয়ক একটি পত্রিকার দীর্ঘযাত্রা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সবিশেষ গুরম্নত্ববহ। আমরা নির্দিষ্ট সময়ে পত্রিকার প্রকাশকে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৭তম দ্বি-বার্ষিক (২০১৬) এশীয় চারু ও কারুকলা প্রদর্শনী ছিল তাৎপর্যময় একটি প্রদর্শনী। এশীয় চারুকলার উদ্যানে এই দ্বি-বার্ষিক প্রদর্শনীটি শ্রদ্ধার আসন অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। যদিও কয়েক বছর ধরে অংশগ্রহণের দিক থেকে এ প্রদর্শনী যথাযথ মান অর্জন করতে পারছে না বলে অনেক সমালোচক অভিমত জ্ঞাপন করেছেন।
এশীয় প্রদর্শনীর সমীক্ষা লিখেছেন শিল্প-সমালোচক হাসনাত আবদুল হাই। দীর্ঘ আলোচনায় তিনি এ প্রদর্শনীর নানা দিক আলোচনা করেছেন। প্রদর্শনীতে যেসব ছবি ছিল তা নিয়ে তিনি শৈল্পিকগুণ বিচার এবং কোথায় এ প্রদর্শনীর সীমাবদ্ধতা সে প্রসঙ্গে কিছু কথা বলেছেন।
ফিলাডেলফিয়ায় শিল্প অঙ্গন ও প্রয়াস নিয়ে লিখেছেন মইনুদ্দীন খালেদ।
কালি ও কলম সিলেট সাহিত্য সম্মেলনে (২০১৭) যোগ দিয়েছিলেন নাট্যজন, নাট্যকার, নাট্যনির্দেশক ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি শাঁওলী মিত্র। তিনি এই সম্মেলনে সাহিত্য থেকে নাটক বা চলচ্চিত্রে যে সংযোগ তৈরি হয় ও সৃজনে তা কীভাবে নবীন মাত্রা অর্জন করে অর্থময় হয়ে ওঠে এ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলেছিলেন। সেই নিরীক্ষণেরই কিছু কথা ধরা রইল তাঁর রচিত একটি নিবন্ধে।
বিভিন্ন শিল্প মাধ্যমের মধ্যে নিবিড় নৈকট্য ও আমত্মঃসম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক সৃজনী উদ্যানকে শুধু ফলপ্রসূ করে না, হয়ে ওঠে নানাদিক দিয়ে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে গুরম্নত্ববহ। এ নিয়ে একটি প্রবন্ধে আলোকপাত করেছেন তপন ভট্টাচার্য।
কে জি সুব্রহ্মণ্যন্ ভারতবর্ষের অনন্য এক চিত্রকর। তাঁর বহুকৌণিক কাজ ভারতবর্ষের শিল্প আন্দোলনে রস সিঞ্চন করেছে। বহু মাধ্যমে তিনি ছিলেন সিদ্ধহসত্ম। শামিত্মনিকেতন ও রবীন্দ্রাদর্শে আলোড়িত হয়ে ছিলেন আমৃত্যু। কলাভবন ছিল তাঁর প্রাণের ক্ষেত্র। শামিত্মনিকেতনে মৃত্যুর কিছুদিন আগে করা তাঁর ম্যুরাল অনুপম সৃষ্টি। এ নিয়ে লিখেছেন সুশীল সাহা।
বিশিষ্ট শিল্পী সুহাস রায় কিছুদিন আগে পরলোকগমন করেছেন। তাঁর সৃজন ও শিল্পীকে নিয়ে একটি শ্রদ্ধাজ্ঞাপক প্রবন্ধ লিখেছেন শিল্প-সমালোচক মৃণাল ঘোষ।
এছাড়া রইল নিয়মিত বিভাগ।