শিল্প ও শিল্পীর ষষ্ঠ বর্ষ প্রথম সংখ্যা বেরোল। ভারতবর্ষের বিশিষ্ট শিল্পী কে জি সুব্রহ্মণ্যন্ লোকামত্মরিত হলেন। জীবদ্দশায় তিনি ও তাঁর সৃজন হয়ে উঠেছিল ভারতবর্ষের চিত্রকলা প্রয়াসে তাৎপর্যময় বিষয়। যৌবনকালেই শামিত্মনিকেতন ও রবীন্দ্রনাথ তাঁর শিল্পীসত্তায় প্রভাময় হয়ে উঠেছিল। পরবর্তীকালে তিনি শামিত্মনিকেতন ও বরোদায় অগণিত শিল্প-শিক্ষার্থীকে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যবোধে দীক্ষা দিয়েছেন। চিত্রশিল্পের সকল শাখায় তাঁর অনায়াস দক্ষতা ও সৃজনবোধের শিল্পিত গুণে তিনি শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপক দুটি লেখা লিখেছেন শিল্প-সমালোচক আবুল মনসুর ও মৃণাল ঘোষ। দুটি প্রবন্ধের সঙ্গে যুক্ত হলো একটি অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী এস এম সুলতানের সৃজন-উদ্যানে রেখালেখ্যের গুরম্নতব ও তাৎপর্য নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিল্প-সমালোচক হাসনাত আবদুল হাই। এই প্রবন্ধে বিশেষ গুরম্নতব পেয়েছে ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর প্রত্যক্ষণ। শিল্পী সুলতানের সৃজনধর্মে ড্রয়িং যে কত গুরম্নত্ববহ হয়ে উঠেছিল লেখকের বিশেস্নষণে তা প্রতিভাত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ও অমৃতা শেরগিল ভারতীয় চিত্রকলায় আধুনিকতার পথ নির্মাণে যে ভূমিকা রেখেছেন তা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেস্নষণ করেছেন সনৎকুমার সাহা।
স্থপতি জাহা হাদিদ সম্প্রতি পরলোকগমন করেছেন। স্থাপত্যে তাঁর সৃজন-উৎকর্ষ নানা দিক থেকে দীপিত হয়ে উঠেছিল। স্থাপত্যশিল্পে তাঁর শিল্পগুণ নিয়ে লিখেছেন স্থপতি ও শিল্প-সমালোচক রবিউল হুসাইন।
এছাড়া চলচ্চিত্র নিয়ে তিনটি প্রবন্ধসহ নিয়মিত বিভাগ।