শিল্প ও শিল্পীর পঞ্চম বর্ষ প্রথম সংখ্যা বেরোল। ভুবনবিখ্যাত চিত্রকর মকবুল ফিদা হুসেনের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আমরা একটি ক্রোড়পত্র এ-সংখ্যায় প্রকাশ করেছি। এই অসামান্য চিত্রকরের জন্মসাল নিয়ে তথ্যবিভ্রাট আছে। দু-একটি গ্রন্থ এবং শিল্পী নিজেও বিভিন্ন সময়ে তাঁর জন্মের নানা তারিখ উল্লেখ করেছেন। আমরা তাঁর একজন জীবনী-রচয়িতার তথ্যকে ভিত্তি করে এই বছরকেই তাঁর জন্মশতবর্ষ হিসেবে বিবেচনা করছি। মকবুল ফিদা হুসেন তাঁর সৃজনকে নানামাত্রিক করে তুলেছিলেন। তাঁর সৃষ্টিশীলতা ছিল বহুমুখী ও বিচিত্রগামী। তাঁর বাঁকফেরা এবং অফুরন্ত সৃজনের মনোগ্রাহী ধারাবাহিকতার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে উপলব্ধি করা যায়, নানা চড়াই-উতরাই এবং সাধনার মধ্য দিয়ে তিনি যা অর্জন করেছিলেন তা তুলনাহীন। মকবুল ফিদা হুসেনের চিত্রের মাধুর্য ও বৈশিষ্ট্য তাঁকে করে তুলেছিল ব্যতিক্রমী ও শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় শিল্পী। তাঁর চিত্রশৈলী, ভাষা, বিষয়ের বৈচিত্র্য এবং ড্রইংয়ের প্রাণ জীবৎকালে তাঁকে খ্যাতির শিখরে নিয়ে গিয়েছিল। একই সঙ্গে তিনি হয়ে উঠেছিলেন আন্তর্জাতিক শিল্প-আন্দোলনে এক সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব।
তাঁর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে মকবুল ফিদা হুসেনকে নিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপক কয়েকটি প্রবন্ধ পত্রস্থ হলো।
আচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপিত হলো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। জয়নুল আবেদিন বহুভাবে এদেশের শিল্প-আন্দোলনকে সজীব ও প্রাণবন্ত করে রেখেছিলেন। যৌবনেই তিনি খ্যাতিমান হয়েছিলেন ১৯৪৩-এর দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা অঙ্কনের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে তাঁর সৃজন-উৎকর্ষ শিখরস্পর্শী হয়ে উঠেছিল। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে তিনি যে প্রতিমান সৃষ্টি করেছেন, এদেশের চিত্রকলার ইতিহাসে তা স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৪৮ সালে তাঁরই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চারু ও কারুকলা ইনস্টিটিউট। এই শিক্ষালয় দেশের চিত্রকলা আন্দোলনকে সর্বদা প্রাণময় করে রেখেছে। এ উপলক্ষে শিল্প ও শিল্পীর এই সংখ্যায় একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হলো।
৩০ নভেম্বর ছিল বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। সৃজনে, অঙ্গীকারে, শিল্পবোধে, গ্রাফিক ডিজাইনে, প্রচ্ছদশিল্পে রুচির উন্নয়নে তিনি যে অবদান রেখেছেন তা হয়ে আছে বিরল দৃষ্টান্ত। কাইয়ুম চৌধুরী ছিলেন শিল্প ও শিল্পীর সম্পাদকম-লীর সভাপতি। তাঁকে স্মরণ করা হলো একটি প্রবন্ধে।
পাবলো পিকাসোর ভাস্কর্য প্রদর্শনী চলছে নিউইয়র্কে। একথা সর্বজনবিদিত যে, সকল মাধ্যমে তাঁর ঈর্ষণীয় দক্ষতা ছিল। চিত্রশিল্পের সকল শাখায় অনায়াস সৃজন তাঁকে আলোচিত ব্যক্তিত্বে এবং বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ শিল্পীতে পরিণত করে। তাঁর শক্তিমত্তা এবং সৃষ্টিশীলতা যে কতভাবে অমোচনীয় হয়ে আছে তা বলে শেষ করা যায় না। এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে নতুন করে তা আবার প্রতিভাত হলো।
সম্প্রতি ভারতবর্ষের খ্যাতনামা স্থপতি চার্লস মার্ক কোরিয়া পরলোকগমন করেছেন। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের শীর্ষস্থানীয় স্থপতিদের মধ্যে অন্যতম। সৃজনধর্মিতা ও স্থাপত্যগুণ চার্লস কোরিয়াকে অনন্য স্থপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তাঁকে স্মরণ করা হলো একটি প্রবন্ধে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্য ও উৎকর্ষ নিয়ে একটি প্রবন্ধ পত্রস্থ হলো।
এছাড়া রইল নিয়মিত বিভাগ।