শিল্প ও শিল্পীর তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হলো।
আমরা যখন এ-সংখ্যাটির কাজ প্রায় শেষ করে এনেছি তখনই সংবাদ এলো বিশিষ্ট শিল্পী ও বেঙ্গল গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টস্-এর পরিচালক, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের অন্যতম ট্রাস্টি, শিল্প ও শিল্পীর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুবীর চৌধুরী আর নেই। তিনি বাংলাদেশের চিত্রকলা প্রয়াসকে গতিশীল, প্রাণবন্ত করার লক্ষ্যে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা সহজে পূরণ হবে না।
আচার্য জয়নুল আবেদিনের আসন্ন জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে একটি শ্রদ্ধাজ্ঞাপক প্রবন্ধ লিখেছেন শিল্প-সমালোচক আবুল মনসুর। এ সংখ্যায় তা পত্রস্থ হলো।
শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী বাংলাদেশের চিত্রকলা-প্রয়াসে তাঁর বহুমাত্রিক সৃষ্টি দ্বারা যে উদ্দীপক বিভাব সৃষ্টি করেছেন তা হয়ে উঠেছে নানাভাবে তাৎপর্যময়। তাঁর একটি সাক্ষাৎকার পত্রস্থ হলো এ-সংখ্যায়। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন মাহবুব রেজা। এ-সাক্ষাৎকারে তাঁর সৃজনভূমির নানা দিক উঠে এসেছে।
এ-কালের আধুনিক ভাস্কর নভেরা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী। কিছুটা অভিমানহত। সকল কোলাহল থেকে দূরে, থাকেন প্যারিসে। সম্প্রতি তাঁর একটি প্রদর্শনী হলো প্যারিসে। নভেরার এই প্রদর্শনী নিয়ে আলোচনা করেছেন আনা ইসলাম।
গণেশ পাইনকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন মৃণাল ঘোষ।
দিয়েগো রিভেরার শক্তিমত্তা, সৃজনশীলতা নিয়ে আলোচনা করেছেন মইনুদ্দীন খালেদ।
সম্প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী অতুল দোদিয়া। এই শিল্পীর সৃজন ভিন্নধর্মী। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় সৃষ্টির নানা কথা উঠে এসেছে।
বাংলা নাট্যমঞ্চের কিংবদন্তিতুল্য মঞ্চস্থপতি খালেদ চৌধুরী পরলোকগমন করেছেন। মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পূর্বে তাঁর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিলেন দেবাশীষ দেব। এই সাক্ষাৎকার এবং মলয়চন্দন
মুখোপাধ্যায়-লিখিত অন্য একটি প্রবন্ধে তাঁর ব্যক্তিত্ব, জীবনসংগ্রাম ও অঙ্গীকারের কথা উঠে এসেছে।
এছাড়া রইল নিয়মিত বিভাগ।