logo

সম্পদকীয়

শিল্প ও শিল্পী সপ্তম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা বেরোল। আমরা আনন্দিত, শিল্পকলা বিষয়ক একটি পত্রিকা সপ্তম বর্ষ অতিক্রম করছে। নানা প্রতিকূলতা, বিশেষত জিজ্ঞাসা-উন্মুখ রচনা পাওয়া যায় না। তবু আমরা নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি পত্রিকাটিকে একটি উন্নত মানসম্পন্ন পত্রিকা করতে। বাংলা ভাষায় চিত্রকলা বিষয়ক পত্রিকা নেই বললেই চলে।

এ-সংখ্যায় বাংলাদেশের অগ্রণী শিল্পী কামরুল হাসানকে নিয়ে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ পত্রস্থ হলো। এই রচনায় শিল্পীর শক্তিমত্তা, তাঁর সৃজন এবং বাংলাদেশের চিত্রকলা আন্দোলনে তাঁর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন মোস্তফা জামান। সঙ্গে উঠে এসেছে শিল্পীর স্বাতন্ত্র্য, তাঁর ক্যানভাসে বাঙালির স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এবং তাঁর রেখার দক্ষতা।

চিত্র-সমালোচক নজরুল ইসলাম এই সংখ্যায় একটি প্রবন্ধে এদেশের চিত্রকলা আন্দোলনে প্রথম প্রজন্মের চারজন শিল্পী আবদুর রাজ্জাক, রশিদ চৌধুরী, কাইয়ুম চৌধুরী ও মুর্তজা বশীরের সৃজন-বৈভবের নানা বিষয় ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। কোথায় তাঁদের স্বাতন্ত্র্য ও আধুনিকতার পথ নির্মাণে কী পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা হয়ে উঠেছিলেন বিশিষ্ট তা বিশ্লেষণ করেছেন। বাংলাদেশের চিত্রকলা আন্দোলনের প্রথম প্রজন্মের এই চারজন নানা দিক থেকে খুবই তাৎপর্যময় শিল্পী। আধুনিকতার পথ নির্মাণে তাঁরা পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন। এই চারজন শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। অগণিত ছাত্রছাত্রী তাঁদের সৃজন ও শিক্ষকতায় উদ্দীপিত হয়েছেন।

হাসনাত আবদুল হাই প্রাচীন সভ্যতায় শিল্পও কীভাবে হয়ে উঠেছিল জীবনের অনুষঙ্গ সেকথা উচ্চারণ করেছেন একটি প্রবন্ধে।

শিল্পী পরিতোষ সেন তাঁর সৃজনধারা দ্বারা ভারতবর্ষের শিল্প-আন্দোলনকে সঞ্জীবিত করেছেন। পাশ্চাত্যে দীক্ষিত এই শিল্পীর সৃজন-বৈভব হয়ে উঠেছিল একদিকে ঐতিহ্য-আশ্রিত এবং অন্যদিকে আধুনিকও। তাঁর জন্ম হয়েছিল ঢাকায়। এই শিল্পীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে শ্রদ্ধাজ্ঞাপক একটি প্রবন্ধ পত্রস্থ হলো এই সংখ্যায়। প্রবন্ধটি লিখেছেন চিত্র-সমালোচক মৃণাল ঘোষ।

এছাড়া চিত্রকলা প্রসঙ্গে আরো দুটি প্রবন্ধ এই সংখ্যায় থাকল। চলচ্চিত্র বিভাগে স্বপ্নজাল ছবিটির সমীক্ষা থাকল। সঙ্গে নিয়মিত বিভাগ।

Leave a Reply