ভারতের স্বনামধন্য শিল্পী অতুল দোদিয়া সম্প্রতি ঢাকা এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আমন্ত্রণে। শিল্প ও শিল্পীর জন্য একটি সাক্ষাৎকার নিতে চিত্রক গ্যালারিতে শিল্পীর মুখোমুখি হন মইনুদ্দীন খালেদ
মইনুদ্দীন খালেদ : আপনি এগারো বছর বয়সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে শিল্পী হবেন। এই বয়সে এরকম সিদ্ধান্ত কী করে সম্ভব?
অতুল দোদিয়া : এ কথাটা আমি ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বলি। বিষয়টা বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে আরো অনেক কথা বলতে হয়। আমি ছোটবেলা থেকেই ছবির মায়ায় পড়ে যাই। শৈশবে অনেকেই ছবি আঁকে, ব্যাপারটা ঠিক এরকম নয়। বড় কথা হচ্ছে, বোম্বে শহরে থাকা আর বাড়ির পরিবেশ। বোম্বে মানেই ইমেজ। আমার বোন পত্রিকা থেকে কেটে নায়কদের ইমেজ দেয়ালে সেঁটে রাখত। বাসার ভেতরে ও বাইরে সর্বত্রই শুধু ছবি। এটাই আমাকে ছোটবেলা থেকে খুব প্রভাবিত করে ফেলে। আমি ছবি আঁকায় যত ভালো করতে থাকি, ততই অমনোযোগী হয়ে পড়ি অন্যান্য বিষয়ে। আমি দশ-এগারো বছর বয়সেই খুব ভালো পোর্ট্রটে করেছি, ল্যান্ডস্কেপ ও অন্যান্য বিষয় এঁকেছি। আমার মনে হলো, আমি ছবিই আঁকতে পারব; অন্য কিছু আমাকে দিয়ে হবে না। ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি আর ম্যাথমেটিকস তো আমার কাছে ভীতিপ্রদ হয়ে উঠল। পরিণামে আমি এসএসসিতে দু-দুবার ফেল করলাম।
ম. খা. : শৈশব-কৈশোরে কী কী বিষয় আপনি কপি করতেন?
অ. দো. : বাড়িতে দু-একটি ওলিওগ্রাফ ছিল। রাজা রবি বর্মার খুব সম্ভবত। এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি কপি করেছি ক্যালেন্ডারের ছবি। ভিউকার্ড, গ্রিটিংস কার্ড, সিনেমা-ম্যাগাজিনের ছবি এসব দেখে দেখে আঁকতাম।
ম. খা. : তখনো কি বোম্বে প্রোগ্রেসিভ গ্র“পের বিখ্যাত শিল্পীদের ছবি আপনার দেখা হয় নাই?
অ. দো. : কী বলেন! অবশ্যই হয়েছে। তখন তো তাঁদের ছবি দিয়ে ক্যালেন্ডার হতো। এটাই মজার বিষয়, একদিকে প্রচলিত হিন্দু দেবদেবীর আঁকা রিয়ালিস্টিক ছবির ক্যালেন্ডার আর অন্যদিকে সমকালীন বড় বড় শিল্পীদের আঁকা ছবি। আমি কিন্তু দুটো দিয়েই প্রভাবিত হয়েছি।
ম. খা. : সমকালীন কোন কোন শিল্পীর কাজ আপনাকে সবচেয়ে বেশি টেনেছিল?
অ. দো. : কিশোরকালে ছবি কপি করা আর শিল্পীর কাজ দেখে প্রভাবিত হওয়া তো এক ব্যাপার নয়। যখন জে. জে. স্কুলে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন থেকেই আকবর পদমজি, তায়েব মেহতা, সুজা, গোইকোনদে, রাজাজি, হুসেন সাহাব – সবার কাজ আমাকে ছবি আঁকার পথ দেখায়। তবে শিল্পীর কাজ শুধু নয়, বোম্বের পপ-কালচারও আমাকে সমান তালে আকৃষ্ট করে রাখে।
ম. খা. : আপনি এক ইন্টারভিউতে বলেছেন যে বোম্বে না হয়ে শান্তিনিকেতনে লেখাপড়া করলে এই অতুল দোদিয়া হতেন না। এই বিষয়টা একটু খুলে বলবেন কি?
অ. দো. : দেখুন, আমি প্রভাব শব্দটি বারবার বলে থাকি। আমার ওপর, মানে সব কিছুর ওপরই গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব আছে। আমরা আমাদের চারপাশ থেকে শুরু করে কসমিক ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত। একদিকে প্রকৃতি আর অন্যদিকে মানুষের তৈরি দুনিয়া, দুইয়ে মিলে আমাদের অভিজ্ঞতা। ভারতবর্ষে এই যে বহু জাতির, বর্ণের, ভাষার, ধর্মের চলমানতা এবং বিচিত্র মানুষের বিচিত্র খেয়াল, যা আমি বোম্বে বসবাস করে যে বেগে দেখে থাকি তা শান্তিনিকেতনে অনুভব করতে পারতাম না। আমি ওখানে থাকলে আরো প্রকৃতিঘনিষ্ঠ থাকতাম। অন্য রকম ছবি আঁকতাম।
শান্তিনিকেতনের পরিবেশ কিন্তু আমাকে খুব টানে।
ম. খা. : বিশ্বভারতীর কলাভবনের গুরুশিল্পীদের কাজ কি আপনাকে প্রেরণা দেয়?
অ. দো. : ইন্সপিরেশান বলুন আর ইনফ্লুয়েন্সই বলুন, আমি নন্দলাল, বিনোদবিহারী, রামকিঙ্কর এঁদের সবার কাজ খুঁটিয়ে দেখি। নন্দলাল বসুর কাজকে কেন্দ্র করে তো আমি একাধিক ছবি এঁকেছি। তবে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্ববহ মনে হয়েছে রবীন্দ্রনাথের কাজ। আমার বিশ্বাস, তিনিই ভারতের শিল্পে যথার্থ অর্থে আধুনিকতার সূচনা করেছেন। এই প্রতিভার অনেক সৃষ্টির সঙ্গেই আমি পরিচিত। তবে চিত্রকর রবীন্দ্রনাথই আমার কাছে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের চিত্রশিল্পকে তাঁর আগে কেউই এতটা আধুনিকতায় উত্তীর্ণ করতে পারেননি। ব্যক্তি মানুষের মনের চাপ আর তার থেকে ইমেজ সৃষ্টি হলে তাতে বিপুল শক্তি পুঞ্জীভূত হয়; রবীন্দ্রনাথ সেই কাজটি করেছেন।
ম. খা. : আপনার কাজ তো অনেক উৎস থেকে ধার নেওয়া ইমেজের সমষ্টি। অনেকটা রবার্ট রাওসেনবার্গের চিত্রভাষার সঙ্গে আমি আপনার কাজের তুলনাকে সংগত মনে করি।
অ. দো. : তা মনে করতে পারেন। রাওসেনবার্গ এক বিশাল প্রতিভা। তাঁর কাজ দেখে আমি শিখেছি। আমার কাজ ইমেজ আঁকা নয় শুধু, যে ইমেজগুলোর সঙ্গে মানুষের পরিচয় আছে অথবা নেই, সবই আমি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করি। দেবদেবীর ছবি, গান্ধী, সিনেমার নায়ক-নায়িকা, অন্য শিল্পীদের আঁকা ছবি, যখন যেটা প্রয়োজন বোধ করি তাকেই আমার ছবির বিষয় করে তুলি। গুহাচিত্র থেকে পোস্ট মডার্ন, শিল্পের এই দীর্ঘ ইতিহাসই যেন আমার টেক্সট, আমি এমনই ভাবি।
ম. খা. : আপনার এই শিল্পনির্মাণে আপনার একাডেমিক শিক্ষাটার কি বড় ভূমিকা আছে?
অ. দো. : অবশ্যই আছে। ইতোপূর্বে বোম্বের যে শিল্পীদের কথা আপনাকে বললাম তাঁরা কেউ শিক্ষক ছিলেন, কেউ ছিলেন না। কিন্তু জে. জে. স্কুলের সঙ্গে তাঁদের একসময় বিরোধ থাকলেও পরে যোগাযোগটা ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে আপনাকে একটা কথা বলি, শিক্ষাটার কিন্তু একক কেন্দ্র নেই। যেমন সিদা গওরার কাজ আমার খুব ভালো লাগে। মাইশোরের এন. এস. হারসা খুবই শক্তিধর। শিল্পী রবীন্দ্রর রেড্ডি বিস্ময়কর কাজ করে চলেছেন। কলকাতার যোগেন চৌধুরী, গণেশ পাইন আমার ভাবনায় রসদ জোগায়।
ম. খা. : আপনার একটি বিখ্যাত ছবি ‘গঙ্গাবতরণ রবি বর্মার পরে’। এই ছবিতে আপনি রবি বর্মার সঙ্গে দাদাবাদের ইমেজ যুক্ত করলেন কোন ভাবনা থেকে?
অ. দো. : আপনি পৌরাণিক ঘটনাটা নিশ্চয়ই জানেন। গঙ্গাদেবী আকাশ থেকে অবতরণ করার সময় শিব তাঁকে মাথায় ধারণ করেন। রবি বর্মা এই পৌরাণিক ঘটনা জোরালো ভাষায় প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে আমি এই ছবিতে যোগ করেছি দাদাবাদের অন্যতম শিল্পী মার্সেল দুশোঁর ‘ব্রাইড ডিসেন্ডিং দ্য স্টেরক্যাইজ’ (বিয়ের কনের সিঁড়ি ভেঙে নামা)। গঙ্গাবতরণের ঘটনা পশ্চিমের মানুষের কাছে অজানা বিষয় আর দুশোঁর ছবিও ভারতের দর্শকের কাছে তেমন পরিচিত নয়। আমার মা আমার ছবিটার দিকে তাকিয়ে একটা অংশ বোঝে, কিন্তু দুশোঁর ইমেজটাও সে বুঝতে চায়, তা তাঁকে ভাবায়। এই যে ভাবানো, মানুষকে ইমেজের মুখোমুখি করানো, এটাই আমার লক্ষ্য বা বক্তব্য।
ম. খা. : কিন্তু, আপনি তো বলে থাকেন যে শিল্প মানুষ শেখায়। রবি বর্মার সঙ্গে দুশোঁর সহাবস্থান থেকে দর্শক কীভাবে কী শিখছে?
অ. দো. : সেটাই তো আপনাকে বললাম। মানুষ ইমেজ পাঠ করতে শিখছে। এটাই তাকে শিক্ষিত করে তোলার একটা পথ বলে আমার মনে হয়। আমি জার্মানির জোসেফ বয়েজের স্থাপনাশিল্পের পাশে গান্ধীর উপস্থিতি নিয়ে শিল্প রচনা করেছি। সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেছে সত্য, কিন্তু সে ছবির মুখোমুখি হয়ে তারা অনেকক্ষণ ভেবেছে; এটাই ছিল আমার উদ্দেশ্য।
ম. খা. : আপনি একবার বলেছিলেন যে ‘গান্ধী ভারতের প্রথম কনসেপচুয়াল আর্টিস্ট’। এখানে কোন কনসেপ্টের কথা আপনি বলতে চেয়েছেন?
অ. দো. : গান্ধী নিজেই বলেছেন, ‘আমি অহিংসার দার্শনিক বা পর্যবেক্ষক নই, আমি অহিংস-ভাবনার শিল্পী।’ গান্ধীর এই কথা অনুসরণ করেই আমি আবিষ্কার করি যে তাঁর আশ্রম, স্বল্পবাস, খাদি পরিধান, চরকা কাটা, ডান্ডি মার্চ অর্থাৎ জীবনাচরণের এই দিকগুলো বিশেষ শৈল্পিক ভাবনা উৎসারিত; তা স্লোগানের রাজনীতি নয়।
ম. খা. : আপনার ছবি তো প্রবলভাবে রাজনীতি-সচেতন মন থেকেই জন্ম নিয়েছে…
অ. দো. : আমি রাজনীতিবিদ নই, শিল্পী। কিন্তু শিল্প আমার কাছে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার হাতিয়ার। আমিও জনগণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সজাগ করতে চাই। গান্ধীর দেশে এত সহিংসতা কেন – এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজি। পুরো নব্বইয়ের দশকটা এতই মর্মান্তিক ও নিষ্ঠুর যে তাকে অনুভবে নিয়ে ছবি আঁকাটা আমার জন্য অনিবার্য ছিল। ১৯৯২-এ বাবরি মসজিদ ভাঙা হলো,
১৯৯৩-এ বোম্বেতে সিরিজ বোমা হামলা, ওদিকে আমেরিকার ট্রেড সেন্টার ধ্বংস হলো, এমনি নানা ঘটনায় সংক্ষুব্ধ সময়টা আমি শিল্পে ধরতে চেয়েছি। উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার নৈতিক দায় আমি সব সময়ই অনুভব করি। নানা ইমেজের পারস্পরিক সংস্থাপন (Juxtaposition), কখনো একটির ওপর আরেকটি (Superimposition) চাপিয়ে আমি সময়কে মুখরিত করে ছবি রচনা করি। এর মধ্যে ভারতবর্ষের পতাকা আছে, দারিদ্র্যক্লিষ্ট মানুষ আছে, পপুলার সিনেমার ইমেজ আছে – এভাবে সময়েরই নানা তল আমি দেখাই। ওই সব মিলিয়ে যে কম্পোজিশন তৈরি হয় তাতে শুধু ইমেজ নয়, মিশ্র মাধ্যমের প্রয়োজন ও শক্তিটাও হয়তো দর্শক অনুভব করে।
ম. খা. : আপনার ‘শপ শাটার’ বা ‘রোলার শাটার’ খুবই আলোচিত শিল্পকর্ম, এ বিষয়ে শুনতে চাই।
অ. দো. : আমি দেশে ও বিদেশে এই সিরিজটা করেছি। ১৯৯৭-এ ভারত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করে। এ উপলক্ষে নানা আয়োজনে অনেক শিল্পী অনেক ধরনের কাজ করে। আমি বেছে নিলাম দোকানের শাটার। বোম্বের রাস্তার পাশের দোকানগুলোর শাটারের গায়ে নানা ধরনের ছবি আঁকা থাকে। আমার আয়োজনটা দ্বিমাত্রিকই ছিল। শাটারটা একটি তল; যদিও তা করোগেটেড আর শাটারটা ওপরে উঠে গেলে আরেকটি তল অপেক্ষাকৃত মসৃণ। এখানে কোনো দোকান নেই। আপনাকে একটি কাজের বিশ্লেষণ দেই; শাটারের ওপর আঁকা রয়েছে মহালক্ষ্মী দেবীর বিশাল ইমেজ আর শাটারটা ওপরে উঠে গেলে পরের তলে পত্রিকা থেকে নেওয়া আরেক ইমেজ ও সংবাদ – যৌতুকের কারণে তিন বোনের আত্মহত্যা। শাটার সিরিজে গান্ধীকে এঁকেছি। শাটার যখন বিকট শব্দে রোল করে ওপরে উঠে যায় তখন তা দেখে দর্শকের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। গান্ধীকে এভাবে গুটিয়ে দিয়ে সময়ের ভয়াবহতাই জানান দিয়েছি।
ম. খা. : আপনি ‘গান্ধী’, ‘ভারতমাতা’ এসব আইডিয়া ভেঙে নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন। এটা কি ডিকনস্ট্রাকশন ভাবনা?
অ. দো. : তা আপনি বলতে পারেন। কিন্তু কোনো বিশেষ তত্ত্বের কথা মাথায় রেখে আমি কোনো কাজ করি না। আমি স্পেস উন্মুক্ত রেখেছি ইমেজের জন্য। যখন যেটা প্রয়োজনীয় মনে হয় তা-ই তাতে স্থাপন করি।
ম. খা. : আপনি তো শিল্পের ইতিহাস থেকেই উপাদান ও অনুষঙ্গ নিচ্ছেন, তাই না?
অ. দো. : দেখুন, শিল্প থেকেই শিল্প সৃষ্টির প্রেরণা ও পথ খুঁজে পাওয়া যায়। আসলে অন্য কিছু নয়, শিল্প থেকেই শিল্প জন্ম নেয়।
ম. খা. : সেটা কী রকম?
অ. দো. : শিল্পের ইতিহাস আমার ছবির অংশ; সেটা একটা দিক। অপরদিকে শিল্প দিয়েই কিন্তু আমি প্রকৃতি ও জীবনের বৈচিত্র্যময় রূপ বুঝতে শিখেছি। ভাবুন, ভ্যান গঘের ‘তারাভরা রাত’-এর কথা। গঘ যে আকাশ ও তারা দেখালেন তেমন তো আমরা সাদা চোখে দেখি না। গঘই আমাদের জানিয়ে দিলেন ‘তারাভরা রাত’-এর রূপটা আসলে অনুভবগ্রাহ্য, চোখের দেখা নয়। ভাবুন তো একবার পিকাসোর কথা। মানুষের মুখ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দুমড়ে-মুচড়ে কী করে তিনি মানুষের নতুন নতুন রূপ আমাদের প্রদর্শন করলেন।
ম. খা. : আপনি ঢাকায় এসে এ দেশের শিল্পীদের কোনো কাজ দেখেছেন?
অ. দো. : বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম। অপূর্ব সংগ্রহ। বিশেষ করে বৌদ্ধ, হিন্দু মূর্তি ভাস্কর্য। তবে ‘জাদুঘর’ শব্দটা আমার খুব ভালো লেগেছে। আসলে শিল্পের সঙ্গে জাদু যুক্ত হওয়ার কারণ আছে। কোনো একটা ম্যাজিক্যাল চার্জ থেকে শিল্পে অভিনবত্বের মাত্রা যুক্ত হয়। অনেক পুরনো ফটোগ্রাফিও ভালো লেগেছে।
ম. খা. : আমাদের জাদুঘরে কোনো আধুনিক বা সমকালীন শিল্প দেখেননি?
অ. দো. : জয়নুল আবেদিনের দুর্ভিক্ষের স্কেচ। সত্যিকার অর্থেই মহৎ কাজ।
ম. খা. : আপনাকে ধন্যবাদ।
অ. দো. : ধন্যবাদ।