logo

প্রথম বর্ষ । প্রথম সংখ্যা। ভাদ্র ১৪১৮ । August 2011

বিস্তারিত

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের চিত্রকলা ও সাংস্কৃতিক কর্মপ্রবাহকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে শিল্প ও শিল্পী নামে চিত্রকলা-বিষয়ক একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হলো। এই পত্রিকায় বাংলাদেশের সংস্কৃতিচর্চার বিভিন্ন অভিব্যক্তি - নাটক, সংগীত, চলচ্চিত্র, স্থাপত্য ও আলোকচিত্র - সম্পর্কে প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশিত হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক শিল্পাঙ্গনের সাম্প্রতিক প্রবণতা ও গতিধারা সম্পর্কেও আলোকপাত করা হবে।

আমিনুল কখনো হারিয়ে যাবেন না

বো র হা ন উ দ্দি ন খা ন জা হা ঙ্গী র
যেদিন সকালে, খুব ভোরে, আমি টরন্টো থেকে ঢাকা পৌঁছোই, সেদিনই খবর পাই আমিনুল অনন্তের পথে পাড়ি দিয়েছেন। অনন্তের পথে সার সার গাছপালা আছে, সরলরেখার মতো গাছপালার ফাঁক দিয়ে ট্রেন চলে যাচ্ছে, ট্রেন অদৃশ্য লাইটহাউসের বাতির দিকে চলে যাচ্ছে। ট্রেন কোথায় যাচ্ছে, ট্রেন কি কোনো সীমারেখার সংজ্ঞা তুলে ধরছে। আকাশ, শেষহীন আকাশের দিকে আমিনুল চলে যাচ্ছেন। আমি তাকিয়ে আছি শেষহীনতার দিকে।

মোহাম্মদ কিবরিয়া নতুন যুগের উদ্ঘাটন

সৈ য় দ ম ন জু রু ল ই স লা ম
বিরাশি বছর বয়সে কেউ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে গেলে তাঁর খুব আপনজন ছাড়া কেউ সেই বিয়োগে তেমন ব্যথিত হয় না, বিলাপ করার মানুষ হয়তো থাকে আরো কম। কিন্তু মোহাম্মদ কিবরিয়ার মৃত্যু শোকগ্রস্ত করেছে অসংখ্য মানুষকে। তারা কষ্ট পাচ্ছে এই কথা ভেবে যে, মানুষটি আরো কিছুদিন স্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকলে আরো কিছু হয়তো দিতে পারতেন দেশের শিল্পকলাকে। হয়তো আরেক নতুন পর্যায়ের উদ্বোধন করতেন,

ঔপনিবেশিক ভারতের ‘আধুনিক’ শিল্পধারা বনাম জয়নুল আবেদিন

আ বু ল ম ন সু র
জয়নুল আবেদিনকে আমরা শিল্পাচার্য আখ্যা দিয়েছি ও বঙ্গের এ-পূর্বাংশে দৃশ্যকলাচর্চার অগ্রপথিকরূপে স্বীকার করে নিয়েছি। এর যাথার্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একইসঙ্গে আমরা তাঁকে পূজ্য সামগ্রী-বিশেষ হিসেবে পৃথক আর দূরবর্তী করেও রেখেছি। এর ফলে জয়নুল আবেদিনের শিল্পকৃতির কোনো বস্তুনিষ্ঠ

মকবুল ফিদা হুসেন নিঃসঙ্গতার ১০০ বছর

শি কো য়া না জ নী ন
মকবুল ফিদা হুসেনকে আখ্যা দেওয়া হয় ‘ভারতের পিকাসো’। কাজের বিষয়বৈচিত্র্য, চরিত্রের বর্ণময়তা আর সৃষ্টির নির্বিচার সমারোহ হয়তো এর কারণ অথবা ’৭১ সালে আঁকা ‘অ্যাগনি’ ছবির ঊর্ধ্বমুখ ঘোড়াটিকে দেখলে অবধারিতভাবে পিকাসোর ‘গুয়ের্নিকা’র কথা মনে পড়ে। হুসেনের জন্ম ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৫-তে। মুম্বাইয়ের খুব কাছে পান্ধারপুরে। তিনি যখন দেড় বছরের

শিল্পকলার আধুনিকতা

যো গে ন চৌ ধু রী
এটা আনন্দের কথা যে, আজকাল বহু তরুণ-তরুণী শিল্পকলা নিয়ে চর্চা করছেন। চিত্রকলা কিংবা নানা রকমের আধুনিক আঙ্গিকে শিল্প সৃষ্টির মধ্যে তাঁরা বিশেষভাবে নিমগ্ন। শুধুমাত্র কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতবর্ষজুড়েই তরুণ শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। আমাদের তরুণ বয়সে বা তারও আগে, শিল্পকর্মের মাধ্যম ছিল মূলত দ্বিমাত্রিক জলরং বা তেলরঙের চিত্র, ভাস্কর্য, গ্রাফিক চিত্র এবং সেরামিক বা পটারি। বর্তমানে তা সমসাময়িক জীবনের নানা উপকরণ ও মাধ্যম-নির্ভর হয়ে

হিন্দু সংস্কৃতিতে ন্যুড হলো বিশুদ্ধতার সমার্থক

নিজের চিত্রকর্ম, সমালোচনা, হিন্দু পুরাণ আর ভারতীয় সংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে তেহেলকা ম্যাগাজিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মকবুল ফিদা হুসেন। সেই সাক্ষাৎকারের ভাষান্তরিত রূপ এখানে তুলে ধরা হলো। ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন জুলফিকার হায়দার তেহেলকা : হুসেন সাহেব, আপনার বিরুদ্ধে মৌলবাদীদের আক্রমণাত্মক মনোভাবকে কীভাবে দেখেন? মকবুল ফিদা হুসেন : এসব আমাকে খুব একটা বিপর্যস্ত করেনি।

রবীন্দ্রনাথ ও যামিনী রায়

সু শো ভ ন অ ধি কা রী
তিরিশের দশকের শেষে নন্দলাল কলাভবনের এক সভায় রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে মুখে মুখে আলোচনা করেছিলেন, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে। এমন আলোচনা সভা শান্তিনিকেতনে প্রায়ই আয়োজিত হতো, আজকের আধুনিক পঠন-পাঠনের কেতাদুরস্ত মতে, আভিধানিক প্রতিশব্দে যাকে ভূষিত করতে পারি ‘ডিসকোর্স’, ‘ইন্টারাকশন’ ইত্যাদি শব্দমালায়। রবিঠাকুরের ‘ইস্কুলে’ গোড়া থেকেই এ-জাতীয় সভা বা ‘ডিসকাসন কর্নার’-এর প্রচলন ছিল। আমরা সকলেই জানি

স্থপতি মাজহারুল ইসলাম : সৃষ্টি ও দেশাত্মবোধের সম্মিলন

শা মী ম আ মি নু র র হ মা ন
১৯৮০ সালের প্রথম দিকের কোনো একদিন হঠাৎ করেই নামটি শুনেছি। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে স্থাপত্যে ভর্তি হওয়ার আশায় বুয়েটে গিয়েছি। স্থাপত্য ফ্যাকাল্টির নিচতলার খোলা পাকা জায়গাটিতে বসে আলাপ করছিলাম কোনো জ্যেষ্ঠ স্থাপত্যের ছাত্রের সঙ্গে। পরামর্শ চাইছিলাম তাঁর কাছে ভর্তি-সংক্রান্ত বিষয়ে।

  • প্র ণ ব র ঞ্জ ন রা য় বিস্ময়করভাবে কর্মঠ ছিলেন সোমনাথ। সত্তর বছর বয়স পর্যন্ত অক্লান্ত কর্মী ছিলেন তিনি। অথচ শক্ত-সমর্থ পুরুষ বলতে যে শরীরের কল্পনা আমরা করি তা কোনোদিনই তাঁর ছিল না। বরাবরই ছিলেন নির্মেদ, প্রায় পেশিহীন, শক্ত হাড়ের মানুষ। তাঁর অনেক ছবি আর মূর্তির চরিত্রের মতনই। তবে আপাত মিল সত্ত্বেও তাঁর চরিত্রগুলোকে আত্মপ্রতিকৃতিমূলক মনে করলে বোধহয় ভুল করা হবে। কারণ তাঁর চরিত্ররা যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার শিকার, তিনি নিজে ঠিক কখনো সে অবস্থায় পড়েননি। তবে কৈশোরে পিতৃহীন, প্রথম যৌবনে কমিউনিস্ট পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী সোমনাথের যৌবন যে সুখে কাটেনি, স্বাস্থ্যের দিকে তিনি যে নজর দেবার সময় পাননি সে-সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ নেই। বিস্তারিত
  • অ লো ক ব সু শেষ ভালো যার সব ভালো তার’ - এই কথাটির আর একবার প্রমাণ মিললো ৩০ মে ২০১১ তারিখে ‘প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব’-এর সফল সমাপ্তির মাধ্যমে। যার শেষটা ভালো বলা হলো তার শুরুটা কেমন ছিল? ‘প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব’ শুরু হয় ২১ মে সন্ধ্যায়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন ঘটে। উৎসবের উদ্বোধন করেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের বিশ্ব কেন্দ্রের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার। বিস্তারিত
  • আ বু ল আ হ সা ন চৌ ধু রী কলের গানের কল্যাণে বিশ শতকের গোড়া থেকে বাংলা গানের যে স্বর্ণযুগ শুরু হয় তার মধ্যপর্বের এক অসামান্য সুরশিল্পীর নাম কমলা ঝরিয়া (১৯০৬-১৯৭৯)। তিরিশ থেকে পঞ্চাশ - এই তিনটি দশক তিনি দাপটের সঙ্গে বাংলা গানের ভুবনে নিজেকে সক্রিয় রেখেছিলেন। শ্রোতার মনে সমীহ-জাগানো এই শিল্পীর অর্জন তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিল - কিন্নরকণ্ঠী কমলা বাংলা গানের জগতে হয়ে উঠেছিলেন কিংবদন্তির নায়িকা। বিস্তারিত
  • রামেন্দু মজুমদার প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবের উদ্বোধক ছিলেন রামেন্দু মজুমদার। শুধু উদ্বোধনের দায়িত্ব পালন নয়, তিনি ছিলেন এই বিশাল কর্মযজ্ঞের স্বাপ্নিক পুরুষ এবং প্রধান কর্মবীর। রামেন্দু মজুমদার বাংলাদেশের থিয়েটারকে নিয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের থিয়েটার ও সংস্কৃতি আজ বহির্বিশ্বে মর্যাদার আসন লাভ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট বিশ্ব কেন্দ্রের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে তিনি বাংলাদেশের নাট্যকর্মীদের গৌরবান্বিত করেছেন। আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের এ উৎসবের নেপথ্যের মূল ব্যক্তিও তিনি। বিস্তারিত

  • রাজন খাটিওয়াদা প্রতিভাবান তরুণ নেপালি অভিনেতা রাজন খাটিওয়াদা এসেছিলেন প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব ২০১১-এ অংশ নিতে। তাঁর অভিনীত মাইলা ডট কম নাটকটি ঢাকার দর্শক মহলে বিপুলভাবে প্রশংসা লাভ করে। আর এ নাটকের নাম ভূমিকায় তাঁর অনবদ্য অভিনয় ঢাকার দর্শক মনে রাখবে দীর্ঘদিন। এই অভিনেতার একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার শিল্প ও শিল্পীর পক্ষে গ্রহণ করেন অলোক বসু। সাক্ষাৎকারটি পত্রস্থ করা হলো :বিস্তারিত
  • ই না পু রী ২০১১ সালটা ভারতীয় চিত্রকলার পৃষ্ঠপোষকদের এবং তার গতিপ্রকৃতি-সন্ধানীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে - ইউরোপজুড়ে অতি মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় শিল্পীদের সংশ্লিষ্টতার কারণে। ভেনিস বিয়েনালের একটা ক্ষেত্র আর্সেনালে - যেখানে এককালে ছিল জাহাজনির্মাণের জায়গা, সেখানে - উন্মুক্ত কংক্রিট, ইটের দেয়াল, বিশাল কলাম এবং বিস্তৃত শূন্য অংশে সৃষ্টি হয়েছে বিয়েনালের জাদুকরী এক উদ্ভট পুরী বিস্তারিত
  • পদ্মশ্রী এইচ কানহাইলাল ভারতের মণিপুর রাজ্যের অন্যতম খ্যাতিমান নাট্যদল কলাক্ষেত্র প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব ২০১১-এ অংশ নেয় তাদের প্রযোজনা ডাকঘর নিয়ে। রবীন্দ্রনাথের এ নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন স্বনামধন্য নির্দেশক পদ্মশ্রী কানহাইলাল। রবীন্দ্রনাথ এ নাটকটির মূল চরিত্র অমল সম্পর্কে লিখেছেন - ‘যে মানুষ উন্মুক্ত পথের আহ্বান শুনতে পেয়েছেন অমল তার অন্তরাত্মার প্রতিনিধিত্ব করে, চতুর মানুষরা যে বেড়া তৈরি করে সেখান থেকে সে মুক্তি চায় বিস্তারিত
  • তৈ য় বা বে গ ম লি পি ভেনিস বিয়েনালে বাংলাদেশের প্রথম পদার্পণের যে-অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা বর্ণনার প্রাক্কালে এর শিকড় কীভাবে প্রোথিত হয়েছিল তা বর্ণনার দাবি রাখে। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ আমার কাছে একটি ই-মেইল এলো, যা পাঠিয়েছেন মেরি অ্যাঞ্জেলা স্রথ নামে ইতালি প্রবাসী এক আমেরিকান মহিলা, যিনি রোমে ‘সালা উনো (ঝধষধ ১)’ নামে রোমের প্রথম অলাভজনক একটি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। বিস্তারিত

  • এ স এ ম সা ই ফু ল ই স লা শিল্পকলার মহত্তম মাধ্যম চিত্রকলা মানুষের বোধ ও অন্তর্জগৎকে যতটা প্রভাবান্বিত করে, তা বহুমাত্রিক ও অতুলনীয়। জীবন ও সময়কে চিত্রকলা যতটা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, অনুভূতিময় ও স্পর্শযোগ্য করতে পারে, তা অন্যান্য ক্ষেত্রে বিরল। শিল্পকলার মধ্যে চিত্রের মাধ্যম আন্তর্জাতিক এবং তার আবেদন ভূগোলের সীমা মানে না। মাধ্যমের এই আন্তর্জাতিকতা চিত্রশিল্পে যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে, তা রূপান্তরিত হয় ইতিহাসে। শিল্পীরা সময়ের অন্তর্গত, তাঁরা ইতিহাসের বাসিন্দা। বিস্তারিত
  • মৌ মি তা ব সা ক ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস ক্ষমতাবদলের ইতিহাস। এই ক্ষমতার পরিবর্তন শুধুমাত্র বংশগত অনুক্রমে কিংবা কোনো একই পরম্পরায় সংঘটিত হয়নি। বরং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বহিরাগত জাতির আধিপত্য স্থাপনের সাক্ষী এই উপমহাদেশ। আর এভাবেই ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি অন্বিত হয়ে ঘটে গিয়েছে এই ভূমিভাগের বহু বিবর্তন। এমনই এক রাজনৈতিক তথা সামাজিক পালাবদলের সন্ধিক্ষণের ঐতিহাসিক নথি শিল্পী চার্লস ড’য়লি (Charles DÕoyly) (১৭৮১-১৮৪৫) অঙ্কিত চিত্রাবলি। বিস্তারিত
  • সি ল ভি য়া না জ নী ন সভ্যতার পথে মানুষের প্রথম পদক্ষেপ শিল্পচর্চা। শিল্পের সারণি ধরেই ক্রমাগত যাপিত জীবনের উত্তুঙ্গ শিখরকে স্পর্শের সমর্থতা তৈরি হয়েছে আজকের উত্তরাধুনিক মানুষের। শিল্প সৃষ্টির প্রয়াস এক সুদীর্ঘ সাধনার নান্দনিক রূপায়ণ। দীর্ঘ সময়ের ভাবনা, বেঁচে থাকার যাতনাকে সরলীকরণের প্রচেষ্টায় প্রাগৈতিহাসিক মানবসন্তান তাঁর অনুভূতিকে অন্ধকার গুহায় বিবৃত করেছে রং-রেখার নানাবিধ সরল বিন্যাসে। প্র ত্নমানবের সীমিত উপকরণ, নিজস্ব করণকৌশল বিস্তারিত
  • জা ফ রি ন গু ল শা ন ‘যখন গভীর রাত্রে তারায় তারায় আকাশ ধরণী মুগ্ধ হয়ে কথা কয় তখন তটিনী ধায় সাগরের পানে যখন বিরহী তার বেদনা ছড়ায় গানে গানে পাখিরা ফিরিবে নীড়ে ক্লান্ত দিন শেষে বিস্তারিত

  • তারেক আহমেদ অনেকটা নীরবেই যেন চলে গেলেন চিদানন্দ দাশগুপ্ত। অনেকদিন ধরেই স্মৃতিশক্তি ক্ষয়কারী পার্কিনসন্স রোগে ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত গত ২৩ মে জীবনাবসান ঘটে তাঁর। তাঁর এই মৃত্যুকে একটি জীবনের অবসান বা তারকার মৃত্যু - কোনোটাই বলা যাবে না। কারণ চিদানন্দ দাশগুপ্ত কোনো যুগ পরিবর্তনকারী নায়ক ছিলেন না - ছিলেন না কোনো খ্যাতিমান চলচ্চিত্র-নির্মাতা বা কুশলী। তবু তাঁর মৃত্যু ভারতকে তো বটেই - গোটা এই অঞ্চলে যাঁরা সিরিয়াস চলচ্চিত্র সংস্কৃতিচর্চায় রত তাঁদের অনেকের মনে ছাপ রেখে যাবে। বিস্তারিত
  • আ হ মে দ খা লে দ প্রাচীন রোমের দাসবিদ্রোহের নেতা, কিংবদন্তির সেই স্পার্টাকাসের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয় অমর সুরস্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদকে, হয়তো অনেকেই বিস্মিত হবেন। মেনে নিতে কষ্টও কি হবে না একটু? কোথায় সেই শিকল-ছেঁড়া দাসনেতা, আর কোথায় আমাদের প্রাণের মানুষ - আত্মভোলা, মানবদরদি শিল্পী - আলতাফ মাহমুদ! তুলনাটা কিন্তু অমূলক নয়; যথার্থ। আর এ বিশ্বাস যে-কারো মনেই গভীরভাবে দানা বাঁধবে, যদি তিনি সেন্টু রায় নির্মিত আলতাফ মাহমুদ প্রামাণ্যচিত্রটি দেখেন। বিস্তারিত
  • সে লি ম পা র ভে জ কান, ভেনিস আর বার্লিন - এই ‘থ্রি বিগ’ বর্তমানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। কান চলচ্চিত্র উৎসব - অফিসিয়াল নাম ফেস্টিভাল দ্য কান বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর মধ্যে আরো বেশি মর্যাদাপূর্ণ ও প্রভাবশালী হয়ে উঠছে দিন দিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৩৯ সালে সব প্রস্ত্ততি সম্পন্ন করেও শুরু হতে না পারা কান যাত্রা শুরু করে ১৯৪৬ সালে ফ্রান্সের রিসোর্ট শহর ‘কান’ থেকে। বিস্তারিত
  • মাহফুজা ইয়াসমীন স্বপ্ন ছিল কলকাতাবাসীর, অবশেষে সেই স্বপ্নের দ্বার উন্মোচিত হলো। জনতা দেখল তাদের মনের মধ্যে ধারণ করা আকাক্সক্ষার বহিঃপ্রকাশ। আর এই স্বপ্ন-আকাক্সক্ষার নাম ‘কলকাতা মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট’, সংক্ষেপে ‘কেমোমা’। ১৫ জুলাই কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে উন্মোচন করা হয় কেমোমার চূড়ান্ত নকশা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেমোমার ম্যানেজিং ট্রাস্টি রাখী সরকার এবং প্রথিতযশা শিল্পী যোগেন চৌধুরী। বিস্তারিত

  • শুভ জ্যোতি বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে সম্প্রতি হয়ে গেল সদ্যপ্রয়াত শিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়া স্মরণে এক বিশেষ চিত্রকর্ম-প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে ১১১টি শিল্পকর্ম ছিল, যেগুলো দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল খায়েরের সংগ্রহ থেকে নেওয়া। ‘শ্রদ্ধার্ঘ : মোহাম্মদ কিবরিয়া’ শিরোনামে প্রদর্শনীতে শিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়ার নিরবচ্ছিন্ন সাধনার স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে দর্শকের সামনে। বিস্তারিত
  • নতুন ঠিকানায় গ্যালারি চিত্রক নতুন একটি যৌথ প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে গ্যালারি চিত্রক তার নতুন ঠিকানায় পদার্পণ করেছে। ২৯ জুলাই শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ধানমণ্ডির সড়ক-৬, বাড়ি-৪, গ্যালারি চিত্রকের নতুন আঙিনায় দেশের ষাটজন শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে একটি যৌথ চিত্র-প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশের নবীন শিল্পীদের চিত্রও গুরুত্বসহকারে প্রদর্শিত হয়েছে বিস্তারিত
  • কিশোর পাশা বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের কোনো বাঙালি যদি তাঁর কর্ম দ্বারা স্বমহিমায় উজ্জ্বল রূপে প্রতিষ্ঠিত হন, সেক্ষেত্রে বাঙালি হিসেবে আমাদের মাথা উঁচু হয়ে যায়। আমরা গর্বভরে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে পারি; বলতে পারি, তিনি বাঙালি, তিনি আমার জ্ঞাতি ভাই, আমার আত্মার কাছাকাছি কেউ। এমন প্রতিভাবান বাঙালি, যাঁরা বিশ্বে বাঙালি সমাজের মাথা উঁচু করেছেন তাঁদের সম্মানিত করছে স্টার-আনন্দবাজার গ্র“প। বিস্তারিত