logo
Yellow fishing net Engraving Softground 1957Picasso-and-Marie-Therese-Gagosian-Gallery-New-York-2011-1Boat in moonlight Watercolour 1956 Qayyum Chowdhury

প্রথম বর্ষ । দ্বিতীয় সংখ্যা । অগ্রহায়ন ১৪১৮ । November 2011

বিস্তারিত

সম্পাদকীয়

চিত্রকলা বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা শিল্প ও শিল্পীর দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হলো। প্রথম সংখ্যা প্রকাশের পর আমরা পাঠক, লেখক এবং বিশেষত দেশের তরুণ চিত্রকর ও তরুণ শিল্পানুরাগীদের মধ্য থেকে যে আনুকূল্য পেয়েছি তা আমাদের পথচলায় পাথেয় হয়ে থাকবে। এই সংখ্যায় আন্তর্জাতিক শিল্প-আন্দোলনের তিন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে তিনটি প্রবন্ধ রয়েছে। পাবলো পিকাসো, ফ্রিদা কাহলো ও অ্যান্ডি ওয়ারহল। তিন ভুবনের এই অনন্য চিত্রকরদের নির্মাণ ও সৃষ্টির উৎকর্ষসহ এতে বিশ্লেষিত হয়েছে তাঁদের প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসা ঘিরে নানা টানাপড়েন এবং তাঁদের সৃজনের ইতিবৃত্ত।

দৃশ্যকলার সন্ধিক্ষণ সফিউদ্দীনের গুরুত্ব

আ বু ল ম ন সু র
১৯৪৭-এর দেশবিভাগ তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি মুসলমানের জন্য সংস্কৃতির এক সংকট নির্মাণ করেছিল। বাঙালির দীর্ঘ, সমৃদ্ধ ও ধর্মীয়-সমন্বয়শীল সংস্কৃতির ওপর হঠাৎ করে এসে পড়ল একটি ধর্মবাদী পৃথক সংস্কৃতি নির্মাণের চাপ, যে-অভিজ্ঞতা বাঙালি মুসলমানের জন্য একেবারে আনকোরা। এ সংস্কৃতি নির্মাণের জন্য অচলিত বা স্বল্পপরিচিত আরবি-ফার্সি

বাংলাদেশে পঞ্চাশের দশকের শিল্প ও শিল্পী

ন জ রু ল ই স লা ম
বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার ইতিহাস ছয় দশকের অল্প অধিক সময়ের। ১৯৪৮ সালে জয়নুল আবেদিন ও তাঁর কলকাতার সহযোগী শিল্পী-বন্ধুদের উদ্যোগে ঢাকায় সরকারি চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা থেকে এর আনুষ্ঠানিক শুরু। উপমহাদেশের মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী পাকিস্তান রাষ্ট্রের একেবারে শুরুতেই, বস্তুত মাত্র এক বছরের মধ্যে চারুকলা ইনস্টিটিউটের

একটি উদ্ভ্রান্ত প্রেমের গল্প

হা সা ন ফে র দৌ স
এবছর বসন্তের শুরুতে নিউইয়র্কে একই সময়ে পিকাসোকে নিয়ে দুটি বড় ধরনের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো। প্রথমটি মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে ‘পিকাসো ও গিটার’ (১৯১২-১৯১৪), দ্বিতীয়টি গ্যাগসিয়ান গ্যালারিতে ‘পিকাসো ও মারি-তেরেস : লা’মুর ফু’। মডার্ন আর্ট মিউজিয়াম বা মোমা শহরের মাঝখানে, সাবওয়ের ঠিক গা-ঘেঁষে। অন্যদিকে গ্যাগসিয়ান গ্যালারি শহরের শেষ প্রান্তে, চেলসিতে। সাবওয়ে করে গেলে হাঁটাপথে আরো আধমাইল বা তার চেয়েও বেশি। মোমাতে পিকাসো দেখে আশ মিটল।

ফ্রিদা কাহলোর চিত্রে দ্বৈতসত্তা ও পরাবাস্তববাদ

ম ঈ নু স সু ল তা ন
গেল শতাব্দীর শেষদিকে আমি যখন লাওসে কাজ করতাম ফ্রিদা কাহলোর নাম তখন শুনি। খুব আলোচিত হচ্ছিলেন মেক্সিকোর এই মহিলা চিত্রশিল্পী। তাঁর রং-তুলির ক্যারিশমা শিল্পীসত্তাকে অতিক্রম করছিল ভৌগোলিক অর্থে। নারীদের জীবনে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জগৎজোড়া আন্দোলনে তিনি যেন হয়ে উঠছিলেন অন্তর্গত রক্তক্ষরণের শিল্পশোভন ঝান্ডা হাতে প্রতিবাদের প্রতীক। সে-সময়ে তাঁর চিত্রকলার দু-চারটে রিপ্রডাকশন প্রিন্টও দেখেছিলাম।

অ্যান্ডি ওয়ারহল ও আমেরিকার শিল্পকলার গতিপথ

ম ই নু ল ই স লা ম জা বে র
খবরটা কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর গণ্ডিও পেরোতে পারেনি। ১৯৮৭-র ২২ ফেব্র“য়ারির ভোরে হাজার লোকের ভিড়ে ভরে যাওয়ার আগেই নিউইয়র্কের ৩৩ ইস্টউড স্ট্রিটের বাড়িটির দরজা-জানালা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ বাড়ির একটি অ্যাপার্টমেন্টের মালিক অ্যান্ডি ওয়ারহল যিনি ‘বব রবার্টস’ নাম নিয়ে মাত্র কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, এই ভোরবেলায় মারা গেছেন। রোজ সকালের মতোই তাঁর বড় ভাই কুশল জানতে ফোন করে অ্যান্ডিকে চাইলেন - অ্যান্ডির এক বন্ধু আবেগহীন কণ্ঠে জানালেন, ‘সে মারা গেছে।

চিত্তপ্রসাদের ছবি কিছু ভাবনা কিছু জিজ্ঞাসা

সু শো ভ ন অ ধি কা রী
শিল্পী চিত্তপ্রসাদের কথা বললেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে শানিত দৃষ্টির এক জোড়া উজ্জ্বল চোখ, ধারালো নাক আর সমগ্র মুখমণ্ডলে ছড়িয়ে থাকা এক আকর্ষণী দীপ্তি - যা থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়া শক্ত। এই আশ্চর্য মানুষটি আমৃত্যু অক্লান্তভাবে রচনা করে চলেন অজস্র ছবি। যেখানে প্রতিবাদের ভাষা আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত লাভার মতো দুর্বার বেগে ধেয়ে এসে দর্শককে হকচকিত করে দেয়। মানুষের সংগ্রাম-আর্তি-হাহাকার-অনাহার আর মৃত্যুর অসহায় যন্ত্রণা, সব একাকার হয়ে তাঁর ছবিতে যেন জ্বলে ওঠে সুতীব্র আগুনের হল্কা।

বহতা বাংলার সৃজন পশরা

সি ল ভি য়া না জ নী ন
তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে, পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন, মানুষ রবে না আর, রবে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখন; (স্বপ্ন, মহাপৃথিবী, জীবনানন্দ দাশ) স্বপ্নমালায় গাঁথা থোকা থোকা রহস্যের মতো মানুষের মনে জেগে ওঠে শিল্পানুভূতির অনামা কুসুম। কেউ কেউ এদের নামাঙ্কিত করে দর্শকের দৃষ্টিচালিত করেন বিশেষ কোনো পরিপ্রেক্ষিতে, কেউবা শিরোনামহীন রেখে আরো অনির্দিষ্টতায় অবগাহনের সুযোগ করে দেন দর্শকদের। বাস্তবের চেয়ে স্বপ্নের দিকেই শিল্পের ঝোঁক অধিকতর।

বাংলার সমকালীন ভাস্কর্যের রূপরেখা একটি প্রদর্শনী-পরিক্রমা

মৃ ণা ল ঘো ষ
কলকাতার ‘এমামি চিজেল আর্ট গ্যালারি’তে সম্প্রতি (১৪-৩০ জুলাই ২০১১) অনুষ্ঠিত হলো পশ্চিমবঙ্গের সমকালীন ভাস্কর্যের একটি সম্মেলক প্রদর্শনী। একুশজন ভাস্করের প্রত্যেকের দুটি করে কাজ নিয়ে এই প্রদর্শনী। এর মধ্যে ১৯৬০-এর দশকে প্রতিষ্ঠাপ্রাপ্ত প্রবীণ ভাস্কর যেমন আছেন, তেমনি এর পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধি-স্থানীয় ভাস্কররাও আছেন। ফলে এই প্রদর্শনী ১৯৬০-এর দশক থেকে একবিংশ শতকের প্রথম দশক পর্যন্ত আমাদের আধুনিক ভাস্কর্যের বিবর্তনের একটি রূপরেখা তুলে ধরে

  • ই না পু রী ‘নদী বলল, আমি তৃষ্ণার্ত; আমায় তুমি এক গ্লাস জল দেবে? সাগর করল আহ্বান : আমার কাছে এসো, আমি তোমায় সব দেব!’ একথাগুলো গণেশ হালুইর রোজনামচায় উঠে এসেছে। এর ব্যাখ্যায় শিল্পী বলেছেন, মোক্ষলাভের এক শব্দাতীত তৃষ্ণার নামই জীবন, যে তৃষ্ণা সবসময়ই অপূর্ণ থেকে যায়। বিস্তারিত
  • আ ব দু শ শা কু র বেকনীয় হৃদয়নিরপেক্ষ-মস্তিষ্ক-সংবাদী না হয়ে বাংলা গান থাকুক মঁতেইনীয় ‘সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী’, থাকুক রবীন্দ্রনাথীয় ‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’। সীমাবদ্ধ কথা, সুর, তাল, লয় ও ছন্দে গড়ে ওঠা গানের আবেদনের স্থায়িত্ব নির্ভর করে শ্রোতাকে সীমাহীন ব্যাকুলতায় উৎকণ্ঠিত করার গুণের ওপর। রস ও ভাবের পূর্ণ অনুভূতিতে ব্যাপ্ত গান বিশেষ থেকে নির্বিশেষেই শুধু নয় - মানবচিত্তকে বয়ে নিয়ে যায় অনন্ত এক শাশ্বত আনন্দলোকে। বিস্তারিত
  • শ ঙ্ক র লা ল ভ ট্টা চা র্য জর্জদার চরিত্রের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তাঁর আদিখ্যেতার অভাব। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তাঁর শ্রদ্ধা ছিল, কিন্তু অহেতুক গদগদ ভাব ছিল না। অধিকাংশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও তথাকথিত রবীন্দ্রভক্তদের মধ্যে এই যে এক পায়ে পড়া বিনয় এটা স্বাভাবিক, আন্তরিক শ্রদ্ধা নয়, এ এক যুক্তিহীন আত্মপ্রত্যয়হীন আত্মসমর্পণ। সৎ, সরল ও ন্যাচারাল ট্যালেন্ট-সমৃদ্ধ জর্জদার এসবের দরকার ছিল না। রবীন্দ্রনাথের প্রতি তাঁর যে ভালোবাসা সেটা জর্জদা কবির গান গেয়েই বুঝিয়ে দিতে পারতেন বিস্তারিত
  • হা স না ত আ ব দু ল হা ই কনিষ্ঠতম হয়েও চলচ্চিত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পমাধ্যম হিসেবে অবিসংবাদিত। শুধু সময়ের নিরিখেই নয়, প্রযুক্তির ব্যবহারে, কলাকুশলতায় এবং বৈচিত্র্যের গুণে একে আধুনিকতম বলেও স্বীকার করতে হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে যা হয়, কনিষ্ঠরা জ্যেষ্ঠদের অভিজ্ঞতা থেকে, বিশেষ করে ভুলত্র“টি দেখে, তাদের কর্মকাণ্ড সংশোধনের যে সুযোগ পেয়ে থাকে, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিস্তারিত

  • জা কি র হো সে ন রা জু তারেক মাসুদ সাধারণ জীবন-যাপন করেননি। তিনি যে জীবন বেছে নিয়েছিলেন, তা ছিল একসঙ্গে যোদ্ধার এবং প্রেমিকের। সিনেমার জন্যে, তিনি সিনেমার মতোই জীবন-যাপন করেছেন। সিনেমায় আমরা যেমনটা দেখি - ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ চরিত্র ও ঘটনা, যুদ্ধ ও প্রেম - যেমনটি বাস্তব দুনিয়ায় ঘটে না, তারেক মাসুদ তেমন জীবনচর্চায় বিশ্বাসী ছিলেন। চলচ্চিত্রের চারকোনা পর্দাকে ভালোবেসে তিনি যেন এক সরলরৈখিক প্রেমের ও লড়াইয়ের জীবন বেছে নিয়েছিলেন। বিস্তারিত
  • বে লা য়ে ত হো সে ন মা মু ন গত ২০০৪, ’০৫ ও ’০৬ সালে আমাদের জাতীয় জীবনে যে ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে এসেছিল, যা থেকে এখনো আমরা পুরোপুরি মুক্ত নই এবং যার ক্ষত এখনো শুকিয়ে যায়নি আমাদের মন থেকে, অনেকের শরীর থেকে - সেই সময় নিয়ে চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ নির্মাণ করেছেন রানওয়ে। রানওয়ে শব্দগতভাবে এমন একটি জায়গা যেখানে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে, নিয়ে আসে মানুষ অথবা অনেক কিছু এবং নিয়েও যায়। বিস্তারিত
  • কা বে রী গা য়ে ন ‘তবুও শ্মশান থেকে দেখেছি চকিত রৌদ্রে কেমন জেগেছে শালিধান’ (জীবনানন্দ দাশ, অন্ধকার থেকে, বেলা অবেলা কালবেলা) হ্যাঁ, পুরোপুরি চল্লিশ বছর লেগে গেল একজন নারীকে সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সেলুলয়েডের ফিতায় দেখতে। শেষতক কাজটি করলেন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু তাঁর গেরিলা চলচ্চিত্রে। বিস্তারিত

  • র জ ত সি ক স্তি যান্ত্রিক সভ্যতার ব্যাপারে মানুষ প্রথম হোঁচটটি খেল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে। সমস্ত বিশ্ববিবেক মুষড়ে পড়ল এবং সভ্যতার এই নতুন সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে লাগল। একদিকে যন্ত্রের অপরিহার্যতা অন্যদিকে এর মারাত্মক গ্রাসী রূপ। মানুষের নৈতিকতার স্তরে শুরু হলো নানান রকম ভাঙন। যন্ত্রের কাছে অসহায় মানুষ দিন দিন দেখতে লাগল নিজের কোণঠাসা অবস্থান। বিস্তারিত
  • রা মে ন্দু ম জু ম দা র ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের পর্যটন ও বন্দরনগরী শামেনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) ৩৩তম বিশ্ব কংগ্রেস। এবারই প্রথম চীনে আইটিআই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হলো। দুবছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় এ কংগ্রেস, যেখানে পৃথিবীর সব মহাদেশ থেকে নাটক, নৃত্য, সংগীত, নাট্য শিক্ষণ, নাট্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা মিলিত হয়ে থাকেন। বিস্তারিত
  • মু ন তা সি র মা মু ন ই ম রা ন অবশেষে শহিদুল আলমের বই বেরোল। প্রাপ্তিটা আমাদের সবার, বাংলাদেশের বললেও ভুল হয় না। কেননা, দক্ষিণ এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে ইকোনমি নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সময় শিল্পের লড়াইয়ে এক ধাপ এগিয়ে যে যাওয়া গেল, তা বললে বোধহয় ভুল হবে না। শহিদুলকে নতুন করে চিনিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। কেননা আলোকচিত্রী হিসেবে দুনিয়াজোড়া তাঁর বিচরণ। বিস্তারিত