logo
Safiuddin Ahmed The fishing net Etching Aquatint 1964004 a zahanWoman and Tree Water Collur 1987

প্রথম বর্ষ । তৃতীয় সংখ্যা । ফাল্গুন ১৪১৮ । February 2012

বিস্তারিত

সম্পাদকীয়

শিল্প ও শিল্পী চিত্রকলা-বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকার তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হলো। দুটি সংখ্যা প্রকাশের পর শিল্পানুরাগী ও নবীন চিত্রকরেরা এ-পত্রিকা সম্পর্কে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। ভবিষ্যৎ পথচলা এবং শিল্প ও শিল্পীর ত্রৈমাসিক পত্রিকার চরিত্র নির্মাণের জন্য এ-পরামর্শ সহায় হয়ে রইল। শিল্পী কামরুল হাসান এদেশের চিত্রকলা-আন্দোলনে এক সজীব ও অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। তাঁর সৃষ্টির বহুমাত্রিক গভীরতা ও তাৎপর্য নিয়ে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধে শিল্পীর চিত্রচর্চা ও জীবনসাধনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। উত্তরকালের শিল্প-প্রয়াসে এই মানুষটি কত দিক থেকে যে বিভাময় ও তাৎপর্যসঞ্চারী সে-কথাই বিশ্লেষিত হয়েছে তাতে।

কামরুল হাসানের চিত্রকলা

সৈ য় দ ম ন জু রু ল ই স লা ম
বাংলাদেশের চারুকলার গঠনভূমিতে শুধু যে রয়েছে পুবের একচ্ছত্র আধিপত্য, তা তো নয়, রয়েছে পশ্চিমেরও নানা অবদান। এই ভূমিতে পুবের জীবনের সংগ্রাম, নিত্যদিনের হাসি-কান্না, কষ্ট ও কল্পনা, এর প্রকৃতির রং বৈচিত্র্যের পাশাপাশি তাই দৃশ্যমান পশ্চিমের নগর বাস্তবতার নানা রূপ; এর জীবনের জটিলতার মূর্ত-বিমূর্ত ছাপ, ধূসরতা এবং বিচ্ছিন্নতার প্রকাশ।

ষাটের দশকের শিল্প ও শিল্পী : বিমূর্ত আঙ্গিকের প্রাধান্য

ন জ রু ল ই স লা ম
বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার প্রাতিষ্ঠানিক শুরুটা ১৯৪৮ সালে হলেও পঞ্চাশের দশকেই আশ্চর্যজনকভাবে এদেশের চিত্রকলায় পাশ্চাত্য ধারার সমকালীন আধুনিকতার প্রতিফলন ঘটতে থাকে জয়নুল, কামরুল, সফিউদ্দীনের মতো চল্লিশের দশকের শিল্পীদের উদার নেতৃত্বে এবং পঞ্চাশের দশকের অগ্রসর চিন্তার তরুণ শিল্পীদের আগ্রহ ও উদ্যোগে।

প্রসঙ্গ : বাংলাদেশের সমকালীন ভাস্কর্য

না সি মু ল খ বি র
ঢাকার শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘পরিবার’ শিরোনাম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সিমেন্টে তৈরি একটি মুক্তাঙ্গন ভাস্কর্য। বিভিন্ন প্রকাশনায় ‘কাউ উইথ টু ফিগারস’ নামে পরিচিত এই ভাস্কর্যটি নির্মিত হয় আনুমানিক ১৯৫৮ সালে। ঢাকার ফার্মগেট এলাকার এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়ির বাগানে ভাস্কর্যটি প্রথমে স্থাপন করা হয়।

সংকটের ভাস্কর লুইস বুর্জোয়া

আ ন্দা লি ব রা শ দী
‘আমার বেলায় ভাস্কর্য আমার শরীর। আমার শরীরই আমার ভাস্কর্য।’ -লুইস বুর্জোয়া গত একশ বছরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর লুইস জোসেফিন বুর্জোয়ার কাজের জন্য বিষয়ের কোনো অভাব হয়নি - আত্মজীবনীর চেয়ে বড় কোনো বিষয়ের অনুসন্ধানও তিনি করেননি। সুতরাং নিজের শৈশব, নৈঃসঙ্গ্য, উদ্বেগ এবং বিশ্বাসভঙ্গের বঞ্চনা নিজের মতো করে নির্মাণ এবং পুনর্নির্মাণ করেছেন

অমৃতা শেরগিল জীবন এবং মৃত্যু

শি কো য়া না জ নী ন
লন্ডন স্কুল অব মিউজিক ক্লাসে আনতোনিত্তে গোটেস্ম্যান এরডোবাক্তে (অমৃতা শেরগিলের মা) তখন পিয়ানো বাজানো শিখতে আসেন। সংগীত ক্লাসের বন্ধু প্রিন্সেস বাম্বা একসময় ভারত ভ্রমণে যাওয়ার জন্য সঙ্গী হতে বললেন। সানন্দে রাজি হয়ে যান মেরি আনতোনিত্তে। তাঁরা দুই বন্ধু মিলে লাহোরে আসেন বেড়াতে। সেটা ১৯১০ সালের ডিসেম্বর। সকলে ভাবল, রাজকুমারী বাম্বা নিশ্চয়ই তাঁর বর পছন্দ করতে লাহোরে এসেছেন। এক সন্ধ্যায় পরিচয় হয় ওমরাও সিং শেরগিলের (অমৃতার বাবা) সঙ্গে। ধনী রুচিশীল সংস্কৃতিবান ওমরাও সিং তখন লাহোরে প্রতিষ্ঠিত বনেদি মাজিথা এস্টেটের মালিক।

স্মৃতি-শ্রুতি-পুরাণের রূপকার : শক্তি বর্মণ

আ না ই স লা ম
ভারতীয় জীবন, নান্দনিক দর্শন ও ইউরোপীয় শিল্প-সংক্রান্ত ভাব-ভাবনা, শিল্পরীতি যাবতীয় স্মৃতি, অভিজ্ঞতা, স্বপ্ন সবই সংশ্লেষিত শিল্পী শক্তি বর্মণের কাজে। জলে ভেসে আসা গুল্মের মতো ফেলে আসা জীবনের স্মৃতি এসে ভর করে তাঁর ক্যানভাসে। আর ভ্রমণসূত্রে পাওয়া অভিজ্ঞতা বারবার এসে কড়া নাড়ে তাঁর চৈতন্যে। স্বদেশ এবং ফ্রান্সের জল-হাওয়ায় বর্ধিত হয়েছে শক্তির চিত্রকর্ম। তাঁর শিল্পসৃষ্টির ক্রমবিবর্তনের সূত্রটি বুঝতে হলে দুই সমাজ-সংস্কৃতির উপাদান ও উপাচারের কথা মনে রাখা প্রয়োজন।

চট্টগ্রামে চারুকলা চর্চার চার দশক আধুনিকতা, স্বাতন্ত্র্য ও নান্দনিকতা

সৈ য় দ আ ব দু ল ও য়া জে দ
চট্টগ্রামে প্রাতিষ্ঠানিক চারুকলা চর্চার চার দশক পূর্তি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। আধুনিক মননশীলতা, শিল্প সৃষ্টির চিৎপ্রকর্ষতা এবং সৃজনশীলতায় নব নব দিগন্ত আবিষ্কারের প্রয়াস চট্টগ্রামের শিল্পীদের প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করে চলেছে। চট্টগ্রামের চারুকলা আজ তাই বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গনে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সমুদ্র, পাহাড়, নদী, সমতল আর সবুজ বন-বনানীসমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ এই চট্টগ্রাম। প্রাচীনত্বে আর ঐতিহ্যে এই চট্টগ্রামের

আকার-প্রকার গ্যালারিতে নন্দলাল বসুর ড্রইং-প্রদর্শনী

ত প ন ভ ট্টা চা র্য
দুহাজার এগারোর ডিসেম্বরে (পাঁচ থেকে চব্বিশ) আচার্য নন্দলাল বসুর একটা উল্লেখযোগ্য প্রদর্শনী হয়েছে কলকাতার আকার-প্রকার গ্যালারিতে। এই প্রদর্শনীর বিষয় হলো, সাধারণভাবে পোস্টকার্ডে আঁকা ছোট সাইজের নন্দলালের ড্রইং। এছাড়া ছাপাই ছবি, সচিত্রকরণের নিদর্শন ইত্যাদিও রয়েছে। নানান মাধ্যমেও তিনি এঁকেছেন, যেমন পেনসিল ড্রইং, তেমন কালি, কলম, তুলি, জলরং, মিশ্র মাধ্যম ইত্যাদি। নন্দলাল বসুর সারা জীবনের কাজে ড্রইং একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়ে রয়েছে।

  • আ বু ল ম ন সু র আজকের বাণিজ্য-শাসিত দৃশ্যকলার পরিমণ্ডলে বসবাস করে সোমনাথ হোর নামের শিল্পীটি আমাদের কাছে কিছুটা অপরিজ্ঞাত থাকতে পারেন। ব্রিটিশ-শাসিত চট্টগ্রামে ১৯২৯ সালে জন্ম নেওয়া মানুষটি যখন ২০০৬ সালে ভারতের শান্তিনিকেতনে মৃত্যুবরণ করেন তখন সংবাদটি বাংলাদেশে শুধু নয়, খোদ ভারতেও তেমন গুরুত্ব পায়নি। এটি অপ্রত্যাশিত ছিল না, কারণ কলাজগতের আলোঝলমল পাদপ্রদীপের শিখা থেকে দূরেই থাকতে চেয়েছেন তিনি। আর নিজেও হয়তো তাঁর মৃত্যু নিয়ে কোলাহল চাননি। বিস্তারিত
  • আ মি মু ল এ হ সা ন দক্ষিণ স্টকহোমের বন্দর এলাকা হামারবির নগর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল ১৯৯০ সালে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালে যখন এর নির্মাণকাজ শেষ হবে তখন পঁচিশ হাজার অধিবাসীর আবাসনসহ মোট পঁয়ত্রিশ হাজার মানুষের থাকার ও কাজের সংস্থান হবে হামারবি অঞ্চলে। লেক হামারবি ঘিরে গড়ে ওঠা এই নতুন নগর স্থাপনার উৎসাহবিন্দুতে রয়েছে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক জল। আধুনিক এই লোকালয় ডিজাইনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশগত পদ্ধতিকে। বিস্তারিত
  • মো স্ত ফা জা মা ন আধুনিকতার অন্তিম পর্বে উৎপাদন-নিরপেক্ষ ক্রয়-বিক্রয় ও প্রচার-প্রহসনের বিরামহীনতা অনেক লক্ষণের মাঝে একটি অন্যতম লক্ষণ। নগর নামের যে দেশ বা অঞ্চল তা বিরামহীন নির্মাণ ও নয়া (?) উৎক্ষেপের ক্ষেত্রবিশেষ - অথচ মানব নামের চেতনপ্রাপ্ত যে জাতি এর অধিবাসী - তার প্রতি প্রায় দায়হীন এমনতর নাগরিক কর্মতৎপরতা। বিমূর্ত শিল্পের ব্যাখ্যা অনুসন্ধানে এমত মানববিমুখতার ধারাসমূহে চোখ রাখা যেন আরো দরকারি হয়ে ওঠে। বিস্তারিত
  • হা স না ত আ ব দু ল হা ই সিনেমা বিভিন্ন শিল্পের ভিত্তিতে তৈরি। যেমন, ফটোগ্রাফি, সঙ্গীত, চিত্রকলা, সাহিত্য ইত্যাদি। সিনেমাকে যদি বলা হয় সচল শব্দসংবলিত দৃশ্যকল্প তাহলে এর সামগ্রিক ভাষা সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। ভূমিকায় বলা হয়েছে, এই সামগ্রিক ভাষা একসঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে সিনেমার নান্দনিকতার বিচার করা যায়। এটি বেশ জটিল এবং অনুশীলনসাপেক্ষ। অভিজ্ঞ সমালোচক কিংবা বোদ্ধা দর্শকের পক্ষে এটা বিচার করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় পুরস্কার এমন সামগ্রিক নান্দনিকতার বিচারেই দেওয়া হয়ে থাকে। বিস্তারিত

  • ফা হ মি দু ল হ ক রাশেদুল ইসলামের চতুর্থ শিশু-প্রাধান্যের চলচ্চিত্র আমার বন্ধু রাশেদ। পরিচালকের আরেকটি আগ্রহের এলাকা হলো মুক্তিযুদ্ধ। এই চলচ্চিত্রটিতে দুইয়ের সমন্বয় ঘটেছে। সমন্বয় ঘটেছিল আরেকবার, স্বল্পদৈর্ঘ্যরে শরৎ ৭১ চলচ্চিত্রে। বলা দরকার, অন্য দুই চলচ্চিত্র দীপু নাম্বার টু ও দূরত্বকে বিবেচনায় রেখে, শিশু-কিশোরদের উপযোগী নির্মিত মোরশেদুল ইসলামের চারটি চলচ্চিত্রের মধ্যে এটিই সবচেয়ে সুনির্মিত। চাকা ছাড়া মোরশেদুল ইসলামের অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যেও আমার বন্ধু রাশেদের অবস্থান থাকবে ওপরের দিকেই। বিস্তারিত
  • ‘আমাদের ধারার আন্দোলনে কোনো শৈল্পিক প্রকাশভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি’ সাক্ষাৎকার গ্রহণে ফৌজিয়া খান মানজারেহাসীন মুরাদ। চলচ্চিত্র-নির্মাতা। নবীন নির্মাতাদের নিকট ভরসার জন তিনি। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ - এর প্রচার, প্রসার ও প্রশিক্ষণে তাঁর সক্রিয়তা বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের এই শক্তিশালী মাধ্যমটির চর্চা বাড়িয়েছে শতগুণ। সম্প্রতি তাঁর চলচ্চিত্র চিন্তা, ডিজিটাল মাধ্যমের বিকাশ এবং বাংলাদেশে বিকল্প চলচ্চিত্র আন্দোলনের নানান দিক নিয়ে কথা বলেন চলচ্চিত্র-নির্মাতা ফৌজিয়া খান। বিস্তারিত
  • মৃ ণা ল ঘো ষ চিত্র ও আলোকচিত্র, ইংরেজিতে যাকে বলে পেইন্টিং ও ফটোগ্রাফ, দুটোকেই সাধারণ কথাবার্তায় অনেকে অনেক সময় ‘ছবি’ বলে থাকেন। যা থেকে বোঝা যায়, এ দুইয়ের মধ্যে কোথাও একটা ঐক্য বা মিল আছে। আলোকচিত্রকে কেউ কেউ আবার ফটো বলতে অভ্যস্ত। সেই সূত্রে চিত্রকেও ‘ফটো’ বলছেন কোনো দর্শক, এরকমও হয়তো অনেকে শুনে থাকবেন। ফ্রেমে বাঁধানো অবস্থায় ঘরের দেয়ালে ঝোলানো রয়েছে একটি আলোকচিত্র, অনেক সময়ই সেটা হয়তো কারোর মুখাবয়বের ছবি, তাকে ফটো বলার একটা সাধারণ প্রবণতা অনেকেরই থাকে। বিস্তারিত

  • অ লো ক ব সু ২০১১ সাল ছিলো রবীন্দ্রনাথের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী। রবীন্দ্রনাথের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে অজস্র অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো বছরজুড়ে। রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতার আবৃত্তি, নাটক, নৃত্যনাট্য, গীতিনাট্যের আয়োজন যেমন ছিলো উল্লেখ করার মতো, তেমনিভাবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে রবীন্দ্র-উত্তরকালের চিত্রশিল্পীদেও চিত্র-প্রদর্শনী এবং রবীন্দ্রচিত্রকলার প্রদর্শনী ছিলো সবিশেষ স্মতর্ব্য ঘটনা। আর গত বছরের শেষ তিনদিন তো বাংলাদেশ রবীন্দ্রময় হয়ে উঠেছিলোবিস্তারিত
  • মা হ মু দ আ ল জা মা ন শিল্পসাধক সফিউদ্দীন আহমেদকে নিয়ে একটি মনোগ্রাহী গ্রন্থ বেরোল ইতালির বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা স্কিরা ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে। ৭ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যায় বেঙ্গল শিল্পালয়ে এ-গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা আন্তর্জাতিক মানের এ-গ্রন্থটিকে এ-দেশের চিত্রকলা চর্চার ইতিহাসে সবদিক থেকে একটি তাৎপর্যময় সাংস্কৃতিক ঘটনা ও প্রকাশনা বলে উল্লেখ করেছেন। গ্রন্থটি পৃথিবীর যেকোনো সম্ভ্রান্ত বইয়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। মুদ্রণ পারিপাট্যে, বিষয়গুণে, অঙ্গ-সৌষ্ঠবের নান্দনিকতায় চিত্রকলা বিস্তারিত
  • রা জী ব ভৌ মি ক মানবমনের গহিন কোণের ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে কাজ-কারবার সুররিয়ালিস্ট বা পরাবাস্তববাদী শিল্পীদের। কল্পনা আর বাস্তবতার মিশ্রণ তৈরি করাটা তো যে-কোনো শিল্পীর জন্যই প্রধান কাজ। কিন্তু পরাবাস্তববাদীরা আবার এক ধাপ এগিয়ে। অবচেতন মনের ক্রিয়াকলাপকে উদ্ভট ও আশ্চর্য সব রূপকল্প দ্বারা প্রকাশ করেন তাঁরা। দাবি করেন, এতেই লুকিয়ে আছে প্রকৃত সত্য।বিস্তারিত

  • চিত্তপ্রসাদ প্রকাশ দাস-সম্পাদিত গাঙচিল, কলকাতা মূল্য : ৬০০ টাকা ক্রমবিবর্তিত মানবসভ্যতার বিকশিত ইতিহাস মানুষই রচনা করে সময়ের উত্থান-পতনের ছন্দে। শাসকের ইতিহাসের রঙিন প্রচ্ছদ শোষিতের ইতিহাসের সঙ্গে পরস্পর দ্বান্দ্বিক। খ্যাতিমানের কীর্তির উজ্জ্বল উপস্থিতি ইতিহাসের গর্বিত চরিত্র নির্মাণ করে, আবার রয়েছে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া প্রতিভাধর কর্মমুখর মানবসভ্যতার প্রতি সত্য উপায়ে আন্তরিক কর্মমুখর জীবনের অশেষ দান।বিস্তারিত
  • সম্প্রতি শিল্প ও শিল্পী পড়লাম। সচরাচর দেখা যায় না - বলা চলে কিছুটা বেঢপ আকারের দৃষ্টিনন্দন ছাপা দেখেই বইয়ের দোকানে কাগজটি চোখে পড়ল। দেখলাম প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা। পত্রিকাটির সিংহভাগ জুড়ে আছে চিত্রকলা বিষয়ক নানা ধরনের লেখা। তবে আমার মনোযোগ কাড়ল চলচ্চিত্র বিষয়ক অংশটি। প্রথম সংখ্যাটি সম্পর্কে খোঁজ করে জানলাম, চিত্রকলার সঙ্গে চলচ্চিত্র এই পত্রিকার নিয়মিত একটি বিভাগ। দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকী পাতায় চলচ্চিত্র বিষয়ে লেখা প্রায় অনুপস্থিত। বিস্তারিত
  • সম্পাদক, শিল্প ও শিল্পী ঢাকা প্রসঙ্গ : মকবুল ফিদা হুসেন আপনাদের অভিনন্দন জানাই এমন একটি উঁচুমানের শিল্প-সম্পর্কিত পত্রিকা প্রকাশ করার জন্য। এ-কাজের মান বজায় রাখা সহজ নয়; কিন্তু এটা যে অত্যন্ত দরকারি কাজ তা বলাই বাহুল্য। অবশ্য আমার এই চিঠিতে আলোচনার বিষয় হলো শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনকে নিয়ে শিকোয়া নাজনীনের প্রবন্ধটি। বিস্তারিত