logo

গয়্যার ছবি : অচেনা বোধির ঊর্ণাজাল

ম ই নু দ্দী ন  খা লে দ

একটি মানুষ টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে। তার পায়ের কাছে একটি বেড়াল গনগনে চোখে তাকিয়ে আছে আর তার মাথার ওপর উড়ছে একঝাঁক বাদুড়। বাদুড়েরা অন্ধকারে প্রেতপুরীর আবেশ তৈরি করেছে। লোকটা এভাবে ঘুমিয়ে পড়লে রাতের চেয়েও কালো ওই বাদুড় আর ওই রহস্যময় বেড়াল অন্ধকার ভেদ করে তার মার্বেলের মতো নকশা করা চোখ বিচ্ছুরিত করে কেন? এ প্রশ্ন নিজের দিকে ছুড়ে দিয়ে আমরা শিল্পকাতর উঠতি বয়সের কজন বন্ধু ছবিটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। ছবিটি প্রায় সব শিল্পের ইতিহাসের বইতে ছাপা হয়। ছবির গায়েই কিন্তু বিষয়টার একটা ব্যাখ্যা লেখা আছে। কিন্তু মগজের কোষ অনেককালের অভিজ্ঞতায় সজীবতর না হলে সে কথার মর্ম বোঝা যায় না। ছবিটাতে লেখা আছে, ‘যুক্তি ঘুমিয়ে পড়লে দৈত্যদের জন্ম হয়।’ মানুষের ভেতর গভীরতর মানব থাকে। আবার এই মানুষের ভেতর বাস করছে ভয়াল নিষ্ঠুর অনেক দানব। সেই দানবদের শনাক্ত করে খুব কম সৃজনশীল মানুষই শিল্পী হতে চেয়েছেন। কারণ দানবসংকুল অন্ধকার সময় পাড়ি দিয়ে শিল্পী হতে হলে অনেক দায় ও ঝুঁকি নিতে হয়। স্পেনের শিল্পী ফ্রান্সিসকো দে গয়্যা [১৭৪৬-১৮২৮] সেই ঝুঁকির ঘূর্ণাবর্তে পড়ে খাবি খেয়েছেন। তারপর যুক্তিকে ঘুম পাড়িয়ে রাখলে সময়ের গ্রাস কতটা করাল হতে পারে তা ছবি এঁকে জানিয়ে দিয়েছেন।
বয়স বেড়েছে ঢের। আমাদের চোখ গয়্যার ছবির মানে কী তা আজ জানে। কিন্তু তাঁর সব ছবির মানে কেউই আজো বুঝে উঠতে পারেনি। স্প্যানিশ ভাষায় গয়্যার এ সিরিজের ছবির নাম ‘ক্যাপ্রিকস’, বাংলায় তাকে ‘খেয়াল’ বলা যেতে পারে। ওই বাদুড়ের ওড়াউড়ি ছবিটা এ সিরিজের কাজ নিয়ে যে বইটি আছে তার প্রচ্ছদ। এটা জানলাম গয়্যার জন্মভূমি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে গিয়ে। প্রিন্ট বা ছাপাই ছবির যে জাতীয় সংগ্রহশালা রয়েছে তাকে বলে ‘কালকোগ্রাফিয়া নাসিওনাল’। এ প্রতিষ্ঠানে বন্ধুঅন্তপ্রাণ শিল্পী মনিরুল ইসলাম আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। গয়্যা যে মেশিনে ওই ছবিটির ছাপ নিয়েছিলেন তা সংরক্ষিত আছে এখানে। মজার বিষয় হলো, সেই মেশিনটার ওপরই সেই ঘুমন্ত মানুষ আর বেড়াল-বাদুড়ের একটা প্রিন্ট দেয়ালে টাঙানো রয়েছে। আমি উল্লসিত হয়ে বললাম, মনির ভাই, এখানে ছবিটার নিচে দাঁড়িয়ে একটা ছবি তুলব। ছবি তুলতে কোনো বাধা নেই। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নারী এসে আমাদের সে কথা জানাল। আমি, মনির ভাই আর সেই নারী গয়্যার ছবিটার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম।
আট বছর কেটে গেছে। এই তো সেদিন, আবার দেখি ধানমন্ডির বেঙ্গল গ্যালারিতে ওই মানুষটি ঘুমে ডুবে আছে আর বাদুড়েরা উড়ছে তার মাথার ওপর। সেই কালকোগ্রাফিয়া নাসিওনাল আর বেঙ্গল গ্যালারির যৌথ উদ্যোগে গয়্যার ছবির এই প্রদর্শনীর আয়োজন, যদিও ছাপাই ছবি। এচিংয়ের প্লেট থেকে অপেক্ষাকৃত নতুন সময়ের প্রিন্ট এগুলো, তবু ঢাকায় বসে গয়্যার ছবি দেখা
শিল্প-প্রদর্শনীর জগতে এক বিরল ঘটনা। কিন্তু এত বড় ঘটনা কেন আরো প্রচারিত হলো না তার দুটি কারণ বলে রাখতে চাই।
এক. গয়্যার কাজ যখন থেকে দুষ্পাঠ্য হয়ে উঠেছে, তখনকার এ কাজগুলো সাধারণ শিল্পরসিকদের জন্য কোনো বিবরণ ও বিশ্লেষণে বোঝানোর আয়োজন করা হয়নি। দুই. মিডিয়ামুখর এই বর্তমান গয়্যা পাঠের প্রায় কোনো উদ্যোগই নেয়নি।
শিল্পের ঘনিষ্ঠপাঠক গয়্যার শুরুর পর্বের কাজ দেখে আমোদিত হবেন; হয়তো বিস্মিত হবেন না। কেননা তাঁর শুরুর দিকের কাজে জীবনের জাঁকাল সুখই কল্লোলিত হয়ে আছে। রাজবাড়ির সুখী মানুষের সুখী মুখ আর বিলাসী জীবনের নানা রূপই তো ছিল তাঁর বিষয়। আর চাওয়াটা ছিল তাঁর খুব স্বাভাবিক। গয়্যা হতে চেয়েছিলেন রাজশিল্পী। চতুর্থ চার্লসের দরবারশিল্পী হিসেবে অনেক কাঠঘর পোড়াতে হয়েছে। জীবনের শুরুতে সরকারি শিল্প বিদ্যালয়ে শিক্ষা নিতে গিয়ে অনেকবার অকৃতকার্য হতে হয়েছে। তারপর ট্যাপেস্ট্রি মহাগুরু বাইয়ুর কাছে দীক্ষা নিতে গিয়ে বুঝেছেন, অনেক রকম পরতে বুনতে হয় শিল্পকে। গয়্যা প্রথম জীবনে তাঁর সময়ের উপরিতল দেখেছেন আর দরবারের নিয়ম মেনেই ছবি এঁকেছেন। আঠারোশো শতকের শেষের দিকে ইউরোপে চলছে রকোকো ধারা। এ রীতির চরম উৎকর্ষ ফ্রান্সে। কারণ রকোকো শুধু বিলাসী জীবনের বিবিধ হিল্লোল এঁকে গেছে। ফ্রান্সের লুইদের জীবন তখন আভিজাত্যের আর আমোদ-প্রমোদের আদর্শ। স্পেনের রাজদরবারে বসে সেই সুখের জমকালো রূপটাই চিত্রিত করে চলছিলেন গয়্যা। বিখ্যাত রাজা ও দরবারের অন্য সব ডাকাবুকো মানুষের মুখ এঁকে প্রতিকৃতি রচনার মধ্য দিয়ে প্রতিভার নিজস্বতা জানান দিলেন তিনি। কিন্তু ১৭৯৩-এ কঠিন অসুখ বাসা বাঁধল গয়্যার দেহে। কী অসুখ! বেহিসাবি নারী আসক্তির কারণে কোনো যৌনব্যাধি? গবেষণা করে কেউ কেউ তা-ই বলেছেন। খুব দ্রুত বধির হয়ে গেলেন শিল্পী। চোখের আলোও খানিকটা নিবে গেল। কিন্তু শিল্প রচনায় তাতে এতটুকু ক্ষতি হলো না। যেন সংগোপনে অন্য অচেনা প্রান্তর তিনি আবিষ্কার করে চললেন জীবনের ও শিল্পের।
সৃষ্টিশীলতার পথে কত না কুহকের জাল ছড়ানো। চেনা পৃথিবী আঁকতে আঁকতেই সহসা মনে হয়, পৃথিবী আসলে অচেনা। সুন্দরের অবয়ব ছিঁড়ে গিয়ে বেরিয়ে আসে তার ভেতরের ক্লেদ। গুরু বাইয়ুর সঙ্গে ট্যাপেস্ট্রি বুনতে বুনতে একদিন গয়্যার ছবির ভাষা বদলে যায়। শিল্পী আর সেই ভোমরাটার গতিবিধি বুঝে উঠতে পারেন না, যে ভোমরাটা মাথা আর হৃদয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে। মস্তিষ্ক বলে এক, হৃদয় বলে আরেক। ট্যাপেস্ট্রির মানুষ ও প্রাণীগুলো তাই কেমন যেন অদ্ভুত আদল পেতে শুরু করল। নিটোল অবয়ব ভেঙে গেল। তামাশা ও পরিহাসের চাপে জীবনের এক নতুন অভিব্যক্তি ফুটে উঠল। শিল্প আসলে বুদ্ধি দিয়ে মেপে মেপে রচনা করা যায় না।
মস্তিষ্কও কি আজো পরিমাপ করতে পেরেছে শিল্পের রহস্যের! শিল্প আসলে অস্তিত্বের কোনো নিভৃত ভুবনে ঊর্ণাজালের মতো মিহিন রেশমের কাজ। সব শিল্পই কি আসলে বুদ্ধি ও হৃদয়ের কানামাছি খেলা – জীবনের খেয়াল। রকোকো রীতি তছনছ করে দিয়ে, দরবারের মানুষের রাজসিক অভিব্যক্তি উপেক্ষা করে, রাজার কানুন অগ্রাহ্য করে ইতিহাস আর না এঁকে, ইতিহাসের অতীত মানবের জীবনের বিচিত্র খেয়াল আঁকতে শুরু করলেন গয়্যা। এভাবে ছবি এঁকে শিল্পের ইতিহাসে নতুন ইতিহাস হলেন এই শিল্পী। মানুষের বোধ ও বোধির অতীত কোনো এক খেয়ালের প্রতিনিধিত্ব করে শিল্প, – এ সত্য অনুভব করে আর কোনোদিন জীবনের স্বাভাবিক পথ গয়্যা খুঁজে পাননি। তারপর নারীসঙ্গের জটিল জাল, যুদ্ধাক্রান্ত জন্মভূমি – এসব অভিজ্ঞতা পেরিয়ে দেখেছেন তাঁর সামনে ভৌতিক এক দেশ আর সেখানে প্রেতিনীর নৃত্য আর দৈত্যের গর্জন। শেষাবধি জীবনের কোনো মানে নেই – গন্তব্য নেই – মীমাংসা নেই। প্রেম ও হত্যার নিষ্ঠুর জাঁতাকলের পেষণে মানুষ কি পরিণামে এই বুঝে যে, জীবন আসলে শুভবোধের অলীক-কল্পনা – সবই ধাঁধা বা ভ্রম।
বেঙ্গল গ্যালারির প্রদর্শনীতে গয়্যার ছাপাই ছবির যে চারটি প্রধান পর্ব রয়েছে তার সুনির্বাচিত অংশ প্রদর্শিত হয়েছে। ক্যাপ্রিকস বা খেয়াল, যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ, ষাঁড়ের লড়াই নিয়ে তোরোমাকিয়া বা বৃষতেজস্ক্রিয়া আর প্রবচন বা ধাঁধা।
ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে ক্যারিকেচারের মধ্য দিয়ে গয়্যার যে নতুন শিল্পযাত্রা শুরু হয় তা ধীরে ধীরে কালো ষাঁড়ের চেয়েও তমসাচ্ছন্ন মানব অস্তিত্বের অনেক অজানা দেশ আবিষ্কার করেছে। দুর্বিপাকে নিমজ্জিত মানবসত্তার এক করুণ ও ভৌতিক ভাষ্য আমরা পাঠ করি গয়্যার জীবনের শেষ পর্বের কাজে। এ-পর্বের কাজকে ডাকা হয় ব্ল্যাক গয়্যা বা কালো গয়্যা বলে।
মানুষ যে ছবির মর্ম উদ্ধার করতে পারে না তার কাছে ফিরে ফিরে যায়। মাদ্রিদের প্রাদো মিউজিয়মে গয়্যা দেখে জীবনের এক যুগ কাটিয়ে দেওয়া যায়। গয়্যা-প্রতিভার নানা সময়ের সব ছবিতেই সমুজ্জ্বল প্রাদোর সংগ্রহ। যে প্রাদোর সংগ্রহ দেখেনি সে কখনো বলতে পারবে না আমি শিল্পের ইতিহাসের গতিবিধি বুঝতে পেরেছি। এক গয়্যা না দেখার জন্যই তার সে দাবি টিকবে না। যারা ছবি দেখে তাদের বিশেষ আমিষাশী লোভ থাকে। চারুশিল্পের যে ইতিহাস রচিত হলো তাতে মানবের – বিশেষ করে মানবীর নগ্ন দেহের লালিত্য একাগ্র ধ্যানে পাঠের আকাক্সক্ষা কে পারে অগ্রাহ্য করতে। আর করবেই বা কেন। জীবনের মাধুরীর বাসা তো দেহে ও দেহেরই ভেতরে পরিব্যাপ্ত। পৃথিবীর কোনো কোনো শিল্পের কাছে পিপাসার্ত দর্শক দল বেঁধে চোখ পেতে রাখে। প্রাদোয় গয়্যার কালো ছবির কাছে কিন্তু মানুষ বেশিক্ষণ তিষ্ঠাতে পারে না। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছটফট করে। এদিক-সেদিক ঘুরেফিরে এসে আবারো হয়তো যুদ্ধের দামামা শোনে – মানুষের রক্তে মানুষের হোলি খেলা দেখে – প্রেতিনীর আসরের রক্ত হিম করা ধ্বনি শোনে – বিশাল এক ছাগলের নাচে বিশেষ খেয়াল উপচিয়ে পড়তে দেখে বা সেই বাদুড়ের পাখার কালো শব্দ শোনে। কিন্তু যে ছবিগুলোর সামনে তৃষ্ণার্ত চোখ কেবলই সুন্দরের মধু পান করে তা নারীর দেহ। ‘নগ্ন মাখা’, ‘পোশাক পরিহিত মাখা’ এসব ছবি। রহস্যময়ী নারীদের মাখা বলা হয়। তারা সুন্দরের ও যৌনতার কুটিল জাল বিছিয়ে পুরুষ শিকার করে। তারা সমাজে পতিতা নয় – দেহজ রূপ বিকিয়ে তারা শুধু জীবন ধারণ করে না। স্বাধীনচারী এই নারীরা মডেল হলে শিল্পীরা দেহে যে রক্তিম স্পন্দন আছে তা চিত্রার্পিত করতে বিশেষ সুবিধা পেতেন।
গয়্যার মাখা দেখার মধ্যে অন্য শিহরণ আছে। মাখার নগ্নরূপ এঁকেছিলেন শিল্পী ১৮০০ সালে। কিন্তু আসলে তা কোনো মাখার ছবি নয়। তা রাজপরিবারের এক নারীর নগ্ন শরীর। এই নারীই গয়্যার জীবনটা ঘোর-ঘোরাল করে তোলে। এখন একটুখানি ইতিহাস পড়তে হয়। ১৭৯৬ সালে ডাচেস অব আলবা বিধবা হলেন। রাজদরবারের শিল্পী বলে গয়্যার পদস্থ অনেক ব্যক্তির সঙ্গেই পরিচয় আছে। রাজা-রানী, ডিউক-ডাচেসদের অনেক ছবিই তো তিনি ফ্রেমবন্দি করেছেন। স্বামী মারা গেলে আন্দালুশিয়ার বাড়িতে গেলেন সেই ডাচেস। বৈধব্য যাপনের বয়স তাঁর তখনো হয়নি। বৈধব্যকে কি কেউ যাপন করতে চায়! গয়্যাকে সেই বাড়িতে আমন্ত্রণ জানালেন চৌত্রিশ বছর বয়সী ডাচেস। রাজপরিবারের সদস্যদের হুকুম তো তামিল করতেই হয়। গয়্যা সেই ডাকে যথাযথভাবে সাড়া দিলেন। বছর না যেতেই দেখা গেল, ডাচেসের এক অপূর্ব ছবি জন্ম নিয়েছে শিল্পীর তুলি থেকে। ডাচেসের পরনে লাল ও কালচে মেরুন পোশাক। পোশাক ভেদ করে দেহের মাধুরী। কোনো আদেশ শিরোধার্য করে যে শিল্পী এ ছবি আঁকেননি তা ছবির বিস্তারিত বিবরণ পাঠ করলে বোঝা যায়। ডাচেসের হাতের আঙুলে দুটি আংটি। তার একটিতে লেখা ‘গয়্যা’ আর অন্যটিতে ‘আলবা’ অর্থাৎ ডাচেস। বৃত্তান্তের এখানেই শেষ নয়। সুন্দরীর তর্জনী ভূমির দিকে নির্দেশিত আর সেই জমিনে লেখা আছে ‘সোলো গয়্যা’ অর্থাৎ ‘শুধুই গয়্যা’। কেলেঙ্কারি ভালোই জমল। কিন্তু ডাচেস বলে কথা। কেউই গয়্যাকে আক্রমণ করার সাহস পেল না। কিন্তু একটা অসহনীয় পরিবেশ তৈরি হলো। কিন্তু ডাচেসের রূপ এমনই এক অনিবার্য নারী প্রতিমা যে তাকে বারবার আঁকলেন গয়্যা। নাম দিলেন ‘মাখা’। তবে মাখাদের ডাকিনী রূপে রূপের জৌলুশ একটু বেশি বেড়ে গেল। সবাই বুঝল গয়্যার নগ্নিকা মাখা আসলে তার প্রেমিকা – ‘ডাচেস অব আলবা’। এদিকে অবশ্য ক্যাথলিক ধর্মগুরুরা রাগে ফুঁসতে লাগলেন। রাজার শাসন আর চার্চের ক্ষমতা গাঁটছড়া বাঁধা। রাজাও চার্চকে অশ্রদ্ধা করতে চায় না। চার্চও চায় না রাজা তার আচরণে অখুশি হোক। এভাবে একটা টানাপড়েন শুরু হয়। গয়্যার জীবন তখন সার্কাসের দড়ির ওপর সাবধানে পা ফেলে এগোচ্ছে। ক্যাথলিকরা খেপে আছে দুই কারণে। একে তো রাজদরবারের মহিমা কালিমালিপ্ত হয়েছে ডাচেস আর মাখার চরিত্র একাকার হয়ে যাওয়ায়, আর অন্যদিকে যেভাবে নগ্নতাকে উজিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ধর্মীয় বা পৌরাণিক ভাবনায় যে দেবত্ব আরোপের শর্ত থাকে তারও বিন্দুমাত্র স্পর্শ নেই। ক্যাথলিকদের কাছে পার্থিব নগ্ন নারীর ছবি আঁকা তখন মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার মতো অপরাধ। তখন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চার্চ নীরব হয়ে রইল। এই দণ্ডের ভয়ে গয়্যা শেষ জীবনে স্পেন ছেড়ে ফ্রান্সে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কেননা রাজনৈতিক অবস্থা যখন স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল তখন গয়্যা ও গয়্যার মতো আরো অনেক শিল্পীকে বিচারের কাঠগড়ায় ডাকার আয়োজন করে চার্চ।
বেঙ্গল গ্যালারির প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় গৌরব গয়্যার যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞবিষয়ক অনেক বিখ্যাত চিত্র এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। এই ছবিগুলো আঁকতে আঁকতেই শিল্পী তাঁর অবিনশ্বর সৃষ্টি ‘৩রা মে ১৮০৮’ ছবিটির রচনা সম্পন্ন করেন ১৮১৪ সালে। মাদ্রিদে দুটি মিউজিয়মের দুটি ছবির সামনে সবসময়ই পঁচিশ-তিরিশজন দর্শক নির্নিমেষ চোখে দাঁড়িয়ে থাকে। দুটি ছবি যুদ্ধবিষয়ক। দুটিই স্পেনীয় শিল্পীর আঁকা। প্রাদোতে গয়্যার ‘৩রা মে’ আর ‘রেইনা সোফিয়া’ মিউজিয়মে পিকাসোর ‘গের্নিকা’ জানিয়ে দিচ্ছে মানুষের পাপ ও পীড়নের ঘটনা শিল্পীহৃদয়ের এক বিশেষ রসায়নে জারিত হয়ে শিল্পিত ইতিহাস হয়ে যায়। রাজা চতুর্থ চার্লস বিলাসী ও অলস জীবন যাপন করছেন। স্পেনীয়রা তাঁর কর্মপরিকল্পনায় এতটুকু সন্তুষ্ট নয়। এদিকে রানী মারিয়া লুইসা খেয়াল-খুশিবশে প্রচুর অপচয় করে চলেছেন। স্পেনের রাজনৈতিক জীবনে কেমনে জড়তা চলছে। এর মধ্যে নেপোলিয়নের সৈন্যরা এলো মাদ্রিদে। নেপোলিয়নের একটা ইতিবাচক ভাবমূর্তি আছে। পৃথিবীর অনেক দেশই তখন মনে করছে, এই ফরাসি সম্রাট একটা কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে। স্পেনীয়রা তাই নেপোলিয়নের সৈন্যদের আগমনে একটা কিছু প্রত্যাশা করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করে চলল। কিন্তু ঘটনা ঘটল অন্যরকম, চালর্সকে সরিয়ে নেপোলিয়ন ক্ষমতায় বসালেন চার্লসের পুত্র ফার্দিনান্দকে। শেষে ফার্দিনান্দকে অপসারণ করে অভিষিক্ত করা হলো নেপোলিয়নের ভাই যোসেফকে। এবার নড়েচড়ে বসল মাদ্রিদের অধিবাসীরা। নেপোলিয়ন ত্রাতা হিসেবে আসেনি। তাদের জন্মভূমি দখল করে নিয়েছে। প্রথমে শুরু হলো চোরাগোপ্তা হামলা। মে মাসের ২ তারিখে স্পেনীয় গেরিলা হামলাটা ভালোই হলো। কিন্তু ৩ তারিখে নেপোলিয়নের সৈন্যরা হিংস্রতার চরম প্রকাশ ঘটাল। স্পেনীয়দের ধরে এনে দল বেঁধে হত্যা করতে শুরু করল। অনেক নিরীহ নারী-পুরুষ ও শিশুর বুক বিদীর্ণ হলো নেপোলিয়নের সৈনিকদের গুলিতে। সবশেষে ১৫ জুন সারাগোসায় স্পেনীয় গেরিলাদের কাছে পরাজয়বরণ করল নেপোলিয়ন বাহিনী। ইউরোপের ইতিহাসে এই যুদ্ধ পেনিনসুলার যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত। নেপোলিয়নের পতনের সুরও এখানেই বেজে ওঠে। স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে যত রক্তাপ্লুত ছবি আঁকা হয়েছে গয়্যার ‘৩রা মে’ তার মধ্যে সর্বপ্রথম। এ ছবিকে গণহত্যার সবচেয়ে মর্মস্পর্শী শিল্পিত দলিল বলা হয়।
নেপোলিয়নের বাহিনীর যে মামলুক সৈন্যটি স্পেনীয় গেরিলার গুলিতে নিহত হয় তা ছুড়েছিল গয়্যার শ্বশুরকুলের এক আত্মীয়। ইতিহাসে লেখা আছে গাব্রিয়েল বালেস নামে গয়্যার শ্যালিকার এক আত্মীয় প্রথম গুলি ছোড়ে। গয়্যার ছেলেও স্বচক্ষে দেখেছে এই যুদ্ধ। আর এদিকে বধির গয়্যা মারণাস্ত্রের মর্মবিদারী শব্দ শুনতে না পেলেও নীরব চোখে দেখেছেন নেপোলিয়নের নিষ্ঠুরতা ও স্পেনীয়দের বীরত্ব।
যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ দেখার জন্য গয়্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সারাগোসায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই দৃশ্য দেখে শিল্পী গয়্যা যে নতুন জন্ম লাভ করেছেন তার অনেক দৃষ্টান্ত বেঙ্গল গ্যালারির প্রদর্শনীতে দর্শক অনুভব করেছেন।
‘৩রা মে’-তে আমরা দেখি নিরীহ নিরস্ত্র জনতার বিপরীতে মারণাস্ত্র উঁচানো সারিবদ্ধ সেনাদের। ছবিটির এক বিশেষ মাহাত্ম্য এর কম্পোজিশন ও ছবির চরিত্রগুলোর নির্বাচন। নানা বয়সের নারী-পুরুষ-শিশু ভিন্ন ভিন্ন অভিব্যক্তিতে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। একজন অসম সাহসী মানুষ দুহাত উঁচিয়ে জানান দিচ্ছে স্বদেশের জন্য মৃত্যুবরণ মহৎ, আরেকজন বিমূঢ়। কেউ মাথা নুইয়ে ধাতব শেলে বিদীর্ণ হওয়ার ভয়কে ঢেকে রাখতে চাচ্ছে। ইতোমধ্যে এক দফা হত্যা করা হয়েছে। তাদের মৃতদেহ – দেহ থেকে বেরিয়ে আসা লাল উষ্ণ রক্তস্রোত ছবির পুরো জমিন প্লাবিত করে রেখেছে। চারদিক অন্ধকার। হত্যাকাণ্ড চলছে রাতে। একটা হলুদ ল্যাম্প থেকে আলো বেরিয়ে আসছে। দূরে দেয়ালের আড়াল থেকে কয়েকজন মানুষ দেখছে এ হত্যাকাণ্ড। সাদা পোশাক পরা দেশপ্রেমিক যে যুবক দুহাত উঁচিয়ে স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য মৃত্যুকে নির্ভয়ে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত তার দেহই ল্যাম্পের আলোয় সবচেয়ে উজ্জ্বল। এভাবে মৃত্যুকে নয়, পরাজয়কে নয়, দেশপ্রেমকে এক ভিন্নমাত্রা দিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মুক্তিযুদ্ধের চিত্রশিল্প রচনা করেছেন গয়্যা।

Mq¨vi Qwe :

A‡Pbv †evwai

EY©vRvj

g B by Ïx b  Lv ‡j `

 

GKwU gvbyl †Uwe‡j gv_v †i‡L Nywg‡q c‡o‡Q| Zvi cv‡qi Kv‡Q GKwU †eovj MbM‡b †Pv‡L ZvwK‡q Av‡Q Avi Zvi gv_vi Ici Do‡Q GKSuvK ev`yo| ev`y‡oiv AÜKv‡i †cÖZcyixi Av‡ek ˆZwi K‡i‡Q| †jvKUv Gfv‡e Nywg‡q co‡j iv‡Zi †P‡qI Kv‡jv IB ev`yo Avi IB inm¨gq †eovj AÜKvi †f` K‡i Zvi gv‡e©‡ji g‡Zv bKkv Kiv †PvL we”QywiZ K‡i †Kb? G cÖkœ wb‡Ri w`‡K Qy‡o w`‡q Avgiv wkíKvZi DVwZ eq‡mi KRb eÜz QweUv wb‡q A‡bK †f‡ewQ| QwewU cÖvq me wk‡íi BwZnv‡mi eB‡Z Qvcv nq| Qwei Mv‡qB wKš‘ welqUvi GKUv e¨vL¨v †jLv Av‡Q| wKš‘ gM‡Ri †Kvl A‡bKKv‡ji AwfÁZvq mRxeZi bv n‡j †m K_vi gg© †evSv hvq bv| QweUv‡Z †jLv Av‡Q, Ôhyw³ Nywg‡q co‡j ˆ`Z¨‡`i Rb¥ nq|Õ gvby‡li †fZi MfxiZi gvbe _v‡K| Avevi GB gvby‡li †fZi evm Ki‡Q fqvj wbôzi A‡bK `vbe| †mB `vbe‡`i kbv³ K‡i Lye Kg m„Rbkxj gvbylB wkíx n‡Z †P‡q‡Qb| KviY `vbemsKzj AÜKvi mgq cvwo w`‡q wkíx n‡Z n‡j A‡bK `vq I SzuwK wb‡Z nq| †¯ú‡bi wkíx d«vwÝm‡Kv †` Mq¨v [1746-1828] †mB SzuwKi N~Y©ve‡Z© c‡o Lvwe †L‡q‡Qb| Zvici hyw³‡K Nyg cvwo‡q ivL‡j mg‡qi MÖvm KZUv Kivj n‡Z cv‡i Zv Qwe Gu‡K Rvwb‡q w`‡q‡Qb|

eqm †e‡o‡Q †Xi| Avgv‡`i †PvL Mq¨vi Qwei gv‡b Kx Zv AvR Rv‡b| wKš‘ Zuvi me Qwei gv‡b †KDB Av‡Rv ey‡S DV‡Z cv‡iwb| ¯ú¨vwbk fvlvq Mq¨vi G wmwi‡Ri Qwei bvg ÔK¨vwcÖKmÕ, evsjvq Zv‡K Ô†LqvjÕ ejv †h‡Z cv‡i| IB ev`y‡oi IovDwo QweUv G wmwi‡Ri KvR wb‡q †h eBwU Av‡Q Zvi cÖ”Q`| GUv Rvbjvg Mq¨vi Rb¥f‚wg †¯ú‡bi ivRavbx gvw`ª‡` wM‡q| wcÖ›U ev QvcvB Qwei †h RvZxq msMÖnkvjv i‡q‡Q Zv‡K e‡j ÔKvj‡KvMÖvwdqv bvwmIbvjÕ| G cÖwZôv‡b eÜzAš—cÖvY wkíx gwbi“j Bmjvg Avgv‡K wb‡q wM‡qwQ‡jb| Mq¨v †h †gwk‡b IB QwewUi Qvc wb‡qwQ‡jb Zv msiw¶Z Av‡Q GLv‡b| gRvi welq n‡jv, †mB †gwkbUvi IciB †mB Nygš— gvbyl Avi †eovj-ev`y‡oi GKUv wcÖ›U †`qv‡j UvOv‡bv i‡q‡Q| Avwg Dj­wmZ n‡q ejjvg, gwbi fvB, GLv‡b QweUvi wb‡P `uvwo‡q GKUv Qwe Zzje| Qwe Zzj‡Z †Kv‡bv evav †bB| cÖwZôv‡bi `vwqZ¡cÖvß GK bvix G‡m Avgv‡`i †m K_v Rvbvj| Avwg, gwbi fvB Avi †mB bvix Mq¨vi QweUvi mvg‡b `uvwo‡q Qwe Zzjjvg|

AvU eQi †K‡U †M‡Q| GB †Zv †mw`b, Avevi †`wL avbgwÛi †e½j M¨vjvwi‡Z IB gvbylwU Ny‡g Wy‡e Av‡Q Avi ev`y‡oiv Do‡Q Zvi gv_vi Ici| †mB Kvj‡KvMÖvwdqv bvwmIbvj Avi †e½j M¨vjvwii †hŠ_ D‡`¨v‡M Mq¨vi Qwei GB cÖ`k©bxi Av‡qvRb, hw`I QvcvB Qwe| GwPs‡qi †c­U †_‡K A‡c¶vK…Z bZzb mg‡qi wcÖ›U G¸‡jv, Zey XvKvq e‡m Mq¨vi Qwe †`Lv
wkí-cÖ`k©bxi RM‡Z GK weij NUbv| wKš‘ GZ eo NUbv †Kb Av‡iv cÖPvwiZ n‡jv bv Zvi `ywU KviY e‡j ivL‡Z PvB|

GK. Mq¨vi KvR hLb †_‡K `y®úvV¨ n‡q D‡V‡Q, ZLbKvi G KvR¸‡jv mvaviY wkíiwmK‡`i Rb¨ †Kv‡bv weeiY I we‡k­l‡Y †evSv‡bvi Av‡qvRb Kiv nqwb| `yB. wgwWqvgyLi GB eZ©gvb Mq¨v cv‡Vi cÖvq †Kv‡bv D‡`¨vMB †bqwb|

 

wk‡íi NwbôcvVK Mq¨vi ïi“i c‡e©i KvR †`‡L Av‡gvw`Z n‡eb; nq‡Zv wew¯§Z n‡eb bv| †Kbbv Zuvi ïi“i w`‡Ki Kv‡R Rxe‡bi RuvKvj myLB K‡j­vwjZ n‡q Av‡Q| ivRevwoi myLx gvby‡li myLx gyL Avi wejvmx Rxe‡bi bvbv iƒcB †Zv wQj Zuvi welq| Avi PvIqvUv wQj Zuvi Lye ¯^vfvweK| Mq¨v n‡Z †P‡qwQ‡jb ivRwkíx| PZz_© Pvj©‡mi `ieviwkíx wn‡m‡e A‡bK KvVNi †cvov‡Z n‡q‡Q| Rxe‡bi ïi“‡Z miKvwi wkí we`¨vj‡q wk¶v wb‡Z wM‡q A‡bKevi AK…ZKvh© n‡Z n‡q‡Q| Zvici U¨v‡cw÷ª gnv¸i“ evBqyi Kv‡Q `x¶v wb‡Z wM‡q ey‡S‡Qb, A‡bK iKg ci‡Z eyb‡Z nq wkí‡K| Mq¨v cÖ_g Rxe‡b Zuvi mg‡qi DcwiZj †`‡L‡Qb Avi `iev‡ii wbqg †g‡bB Qwe Gu‡K‡Qb| AvVv‡iv‡kv kZ‡Ki †k‡li w`‡K BD‡iv‡c Pj‡Q i‡Kv‡Kv aviv| G ixwZi Pig DrKl© d«v‡Ý| KviY i‡Kv‡Kv ïay wejvmx Rxe‡bi wewea wn‡j­vj Gu‡K †M‡Q| d«v‡Ýi jyB‡`i Rxeb ZLb AvwfRv‡Z¨i Avi Av‡gv`-cÖ‡gv‡`i Av`k©| †¯ú‡bi ivR`iev‡i e‡m †mB my‡Li RgKv‡jv iƒcUvB wPwÎZ K‡i PjwQ‡jb Mq¨v| weL¨vZ ivRv I `iev‡ii Ab¨ me WvKvey‡Kv gvby‡li gyL Gu‡K cÖwZK…wZ iPbvi ga¨ w`‡q cÖwZfvi wbR¯^Zv Rvbvb w`‡jb wZwb| wKš‘ 1793-G KwVb AmyL evmv euvaj Mq¨vi †`‡n| Kx AmyL! †ewnmvwe bvix Avmw³i Kvi‡Y †Kv‡bv †hŠbe¨vwa? M‡elYv K‡i †KD †KD Zv-B e‡j‡Qb| Lye `ª“Z ewai n‡q †M‡jb wkíx| †Pv‡Li Av‡jvI LvwbKUv wb‡e †Mj| wKš‘ wkí iPbvq Zv‡Z GZUzKz ¶wZ n‡jv bv| †hb ms‡Mvc‡b Ab¨ A‡Pbv cÖvš—i wZwb Avwe®‹vi K‡i Pj‡jb Rxe‡bi I wk‡íi|

m„wókxjZvi c‡_ KZ bv Kzn‡Ki Rvj Qov‡bv| †Pbv c„w_ex AuvK‡Z AuvK‡ZB mnmv g‡b nq, c„w_ex Avm‡j A‡Pbv| my›`‡ii Aeqe wQu‡o wM‡q †ewi‡q Av‡m Zvi †fZ‡ii †K¬`| ¸i“ evBqyi m‡½ U¨v‡cw÷ª eyb‡Z eyb‡Z GKw`b Mq¨vi Qwei fvlv e`‡j hvq| wkíx Avi †mB †fvgivUvi MwZwewa ey‡S DV‡Z cv‡ib bv, †h †fvgivUv gv_v Avi ü`‡q Qy‡UvQywU Ki‡Z _v‡K| gw¯—®‹ e‡j GK, ü`q e‡j Av‡iK| U¨v‡cw÷ªi gvbyl I cÖvYx¸‡jv ZvB †Kgb †hb A™¢yZ Av`j †c‡Z ïi“ Kij| wb‡Uvj Aeqe †f‡O †Mj| Zvgvkv I cwinv‡mi Pv‡c Rxe‡bi GK bZzb Awfe¨w³ dz‡U DVj| wkí Avm‡j eyw× w`‡q †g‡c †g‡c iPbv Kiv hvq bv|

gw¯—®‹I wK Av‡Rv cwigvc Ki‡Z †c‡i‡Q wk‡íi in‡m¨i! wkí Avm‡j Aw¯—‡Z¡i †Kv‡bv wbf„Z fye‡b EY©vRv‡ji g‡Zv wgwnb †ik‡gi KvR| me wkíB wK Avm‡j eyw× I ü`‡qi KvbvgvwQ †Ljv Ñ Rxe‡bi †Lqvj| i‡Kv‡Kv ixwZ ZQbQ K‡i w`‡q, `iev‡ii gvby‡li ivRwmK Awfe¨w³ D‡c¶v K‡i, ivRvi Kvbyb AMÖvn¨ K‡i BwZnvm Avi bv Gu‡K, BwZnv‡mi AZxZ gvb‡ei Rxe‡bi wewPÎ †Lqvj AuvK‡Z ïi“ Ki‡jb Mq¨v| Gfv‡e Qwe Gu‡K wk‡íi BwZnv‡m bZzb BwZnvm n‡jb GB wkíx| gvby‡li †eva I †evwai AZxZ †Kv‡bv GK †Lqv‡ji cÖwZwbwaZ¡ K‡i wkí, Ñ G mZ¨ Abyfe K‡i Avi †Kv‡bvw`b Rxe‡bi ¯^vfvweK c_ Mq¨v Lyu‡R cvbwb| Zvici bvixm‡½i RwUj Rvj, hy×vµvš— Rb¥f‚wg Ñ Gme AwfÁZv †cwi‡q †`‡L‡Qb Zuvi mvg‡b †fŠwZK GK †`k Avi †mLv‡b †cÖwZbxi b„Z¨ Avi ˆ`‡Z¨i MR©b| †klvewa Rxe‡bi †Kv‡bv gv‡b †bB Ñ Mš—e¨ †bB Ñ gxgvsmv †bB| †cÖg I nZ¨vi wbôzi RuvZvK‡ji †cl‡Y gvbyl wK cwiYv‡g GB ey‡S †h, Rxeb Avm‡j ïf‡ev‡ai AjxK-Kíbv Ñ meB auvav ev åg|

†e½j M¨vjvwii cÖ`k©bx‡Z Mq¨vi QvcvB Qwei †h PviwU cÖavb ce© i‡q‡Q Zvi mywbe©vwPZ Ask cÖ`wk©Z n‡q‡Q| K¨vwcÖKm ev †Lqvj, hy‡×i aŸsmhÁ, luv‡oi jovB wb‡q †Zv‡ivgvwKqv ev e„l‡ZRw¯Œqv Avi cÖePb ev auvav|

e¨½-we`ªƒc K‡i K¨vwi‡KPv‡ii ga¨ w`‡q Mq¨vi †h bZzb wkíhvÎv ïi“ nq Zv ax‡i ax‡i Kv‡jv luv‡oi †P‡qI Zgmv”Qbœ gvbe Aw¯—‡Z¡i A‡bK ARvbv †`k Avwe®‹vi K‡i‡Q| `ywe©cv‡K wbgw¾Z gvbemËvi GK Ki“Y I †fŠwZK fvl¨ Avgiv cvV Kwi Mq¨vi Rxe‡bi †kl c‡e©i Kv‡R| G-c‡e©i KvR‡K WvKv nq e­¨vK Mq¨v ev Kv‡jv Mq¨v e‡j|

gvbyl †h Qwei gg© D×vi Ki‡Z cv‡i bv Zvi Kv‡Q wd‡i wd‡i hvq| gvw`ª‡`i cÖv‡`v wgDwRq‡g Mq¨v †`‡L Rxe‡bi GK hyM KvwU‡q †`Iqv hvq| Mq¨v-cÖwZfvi bvbv mg‡qi me Qwe‡ZB mgy¾¡j cÖv‡`vi msMÖn| †h cÖv‡`vi msMÖn †`‡Lwb †m KL‡bv ej‡Z cvi‡e bv Avwg wk‡íi BwZnv‡mi MwZwewa eyS‡Z †c‡iwQ| GK Mq¨v bv †`Lvi Rb¨B Zvi †m `vwe wUK‡e bv| hviv Qwe †`‡L Zv‡`i we‡kl Avwglvkx †jvf _v‡K| Pvi“wk‡íi †h BwZnvm iwPZ n‡jv Zv‡Z gvb‡ei Ñ we‡kl K‡i gvbexi bMœ †`‡ni jvwjZ¨ GKvMÖ a¨v‡b cv‡Vi AvKv•¶v †K cv‡i AMÖvn¨ Ki‡Z| Avi Ki‡eB ev †Kb| Rxe‡bi gvayixi evmv †Zv †`‡n I †`‡niB †fZ‡i cwie¨vß| c„w_exi †Kv‡bv †Kv‡bv wk‡íi Kv‡Q wccvmvZ© `k©K `j †eu‡a †PvL †c‡Z iv‡L| cÖv‡`vq Mq¨vi Kv‡jv Qwei Kv‡Q wKš‘ gvbyl †ewk¶Y wZôv‡Z cv‡i bv| wKQy¶Y `uvwo‡q QUdU K‡i| Gw`K-†mw`K Ny‡iwd‡i G‡m Avev‡iv nq‡Zv hy‡×i `vgvgv †kv‡b Ñ gvby‡li i‡³ gvby‡li †nvwj †Ljv †`‡L Ñ †cÖwZbxi Avm‡ii i³ wng Kiv aŸwb †kv‡b Ñ wekvj GK QvM‡ji bv‡P we‡kl †Lqvj DcwP‡q co‡Z †`‡L ev †mB ev`y‡oi cvLvi Kv‡jv kã †kv‡b| wKš‘ †h Qwe¸‡jvi mvg‡b Z…òvZ© †PvL †KejB my›`‡ii gay cvb K‡i Zv bvixi †`n| ÔbMœ gvLvÕ, Ô†cvkvK cwiwnZ gvLvÕ Gme Qwe| inm¨gqx bvix‡`i gvLv ejv nq| Zviv my›`‡ii I †hŠbZvi KzwUj Rvj wewQ‡q cyi“l wkKvi K‡i| Zviv mgv‡R cwZZv bq Ñ †`nR iƒc wewK‡q Zviv ïay Rxeb aviY K‡i bv| ¯^vaxbPvix GB bvixiv g‡Wj n‡j wkíxiv †`‡n †h iw³g ¯ú›`b Av‡Q Zv wPÎvwc©Z Ki‡Z we‡kl myweav †c‡Zb|

Mq¨vi gvLv †`Lvi g‡a¨ Ab¨ wkniY Av‡Q| gvLvi bMœiƒc Gu‡KwQ‡jb wkíx 1800 mv‡j| wKš‘ Avm‡j Zv †Kv‡bv gvLvi Qwe bq| Zv ivRcwiev‡ii GK bvixi bMœ kixi| GB bvixB Mq¨vi RxebUv †Nvi-†Nvivj K‡i †Zv‡j| GLb GKUzLvwb BwZnvm co‡Z nq| 1796 mv‡j Wv‡Pm Ae Avjev weaev n‡jb| ivR`iev‡ii wkíx e‡j Mq¨vi c`¯’ A‡bK e¨w³i m‡½B cwiPq Av‡Q| ivRv-ivbx, wWDK-Wv‡Pm‡`i A‡bK QweB †Zv wZwb †d«gew›` K‡i‡Qb| ¯^vgx gviv †M‡j Av›`vjywkqvi evwo‡Z †M‡jb †mB Wv‡Pm| ˆeae¨ hvc‡bi eqm Zuvi ZL‡bv nqwb| ˆeae¨‡K wK †KD hvcb Ki‡Z Pvq! Mq¨v‡K †mB evwo‡Z Avgš¿Y Rvbv‡jb †PŠwÎk eQi eqmx Wv‡Pm| ivRcwiev‡ii m`m¨‡`i ûKzg †Zv Zvwgj Ki‡ZB nq| Mq¨v †mB Wv‡K h_vh_fv‡e mvov w`‡jb| eQi bv †h‡ZB †`Lv †Mj, Wv‡P‡mi GK Ac~e© Qwe Rb¥ wb‡q‡Q wkíxi Zzwj †_‡K| Wv‡P‡mi ci‡b jvj I Kvj‡P †gi“b †cvkvK| †cvkvK †f` K‡i †`‡ni gvayix| †Kv‡bv Av‡`k wk‡ivavh© K‡i †h wkíx G Qwe Auv‡Kbwb Zv Qwei we¯—vwiZ weeiY cvV Ki‡j †evSv hvq| Wv‡P‡mi nv‡Zi AvOy‡j `ywU AvswU| Zvi GKwU‡Z †jLv ÔMq¨vÕ Avi Ab¨wU‡Z ÔAvjevÕ A_©vr Wv‡Pm| e„Ëv‡š—i GLv‡bB †kl bq| my›`ixi ZR©bx f‚wgi w`‡K wb‡`©wkZ Avi †mB Rwg‡b †jLv Av‡Q Ô†mv‡jv Mq¨vÕ A_©vr ÔïayB Mq¨vÕ| †K‡j¼vwi fv‡jvB Rgj| wKš‘ Wv‡Pm e‡j K_v| †KDB Mq¨v‡K AvµgY Kivi mvnm †cj bv| wKš‘ GKUv Amnbxq cwi‡ek ˆZwi n‡jv| wKš‘ Wv‡P‡mi iƒc GgbB GK Awbevh© bvix cÖwZgv †h Zv‡K evievi AuvK‡jb Mq¨v| bvg w`‡jb ÔgvLvÕ| Z‡e gvLv‡`i WvwKbx iƒ‡c iƒ‡ci †RŠjyk GKUz †ewk †e‡o †Mj| mevB eySj Mq¨vi bwMœKv gvLv Avm‡j Zvi †cÖwgKv Ñ ÔWv‡Pm Ae AvjevÕ| Gw`‡K Aek¨ K¨v_wjK ag©¸i“iv iv‡M dzum‡Z jvM‡jb| ivRvi kvmb Avi Pv‡P©i ¶gZv MuvUQov euvav| ivRvI PvP©‡K AkÖ×v Ki‡Z Pvq bv| PvP©I Pvq bv ivRv Zvi AvPi‡Y ALywk †nvK| Gfv‡e GKUv Uvbvc‡ob ïi“ nq| Mq¨vi Rxeb ZLb mvK©v‡mi `woi Ici mveav‡b cv †d‡j G‡Mv‡”Q| K¨v_wjKiv †L‡c Av‡Q `yB Kvi‡Y| G‡K †Zv ivR`iev‡ii gwngv Kvwjgvwjß n‡q‡Q Wv‡Pm Avi gvLvi PwiÎ GKvKvi n‡q hvIqvq, Avi Ab¨w`‡K †hfv‡e bMœZv‡K DwR‡q cÖKvk Kiv n‡q‡Q Zv‡Z agx©q ev †cŠivwYK fvebvq †h †`eZ¡ Av‡iv‡ci kZ© _v‡K ZviI we›`ygvÎ ¯úk© †bB| K¨v_wjK‡`i Kv‡Q cvw_©e bMœ bvixi Qwe AuvKv ZLb g„Zz¨`Ê cvIqvi g‡Zv Aciva| ZLb ivR‰bwZK Aw¯’iZvi Kvi‡Y PvP© bxie n‡q iBj| GB `‡Êi f‡q Mq¨v †kl Rxe‡b †¯úb †Q‡o d«v‡Ý AvkÖq wb‡qwQ‡jb| †Kbbv ivR‰bwZK Ae¯’v hLb ¯^vfvweK n‡q G‡mwQj ZLb Mq¨v I Mq¨vi g‡Zv Av‡iv A‡bK wkíx‡K wePv‡ii KvVMovq WvKvi Av‡qvRb K‡i PvP©|

†e½j M¨vjvwii cÖ`k©bxi me‡P‡q eo †MŠie Mq¨vi hy‡×i aŸsmhÁwelqK A‡bK weL¨vZ wPÎ GLv‡b Dc¯’vwcZ n‡q‡Q| GB Qwe¸‡jv AuvK‡Z AuvK‡ZB wkíx Zuvi Awebk¦i m„wó Ô3iv †g 1808Õ QwewUi iPbv m¤úbœ K‡ib 1814 mv‡j| gvw`ª‡` `ywU wgDwRq‡gi `ywU Qwei mvg‡b memgqB cuwPk-wZwikRb `k©K wbwb©‡gl †Pv‡L `uvwo‡q _v‡K| `ywU Qwe hy×welqK| `ywUB †¯úbxq wkíxi AuvKv| cÖv‡`v‡Z Mq¨vi Ô3iv †gÕ Avi Ô†iBbv †mvwdqvÕ wgDwRq‡g wcKv‡mvi Ô†Mwb©KvÕ Rvwb‡q w`‡”Q gvby‡li cvc I cxo‡bi NUbv wkíxü`‡qi GK we‡kl imvq‡b RvwiZ n‡q wkwíZ BwZnvm n‡q hvq| ivRv PZz_© Pvj©m wejvmx I Ajm Rxeb hvcb Ki‡Qb| †¯úbxqiv Zuvi Kg©cwiKíbvq GZUzKz mš‘ó bq| Gw`‡K ivbx gvwiqv jyBmv †Lqvj-Lywke‡k cÖPzi AcPq K‡i P‡j‡Qb| †¯ú‡bi ivR‰bwZK Rxe‡b †Kg‡b RoZv Pj‡Q| Gi g‡a¨ †b‡cvwjq‡bi ˆmb¨iv G‡jv gvw`ª‡`| †b‡cvwjq‡bi GKUv BwZevPK fveg~wZ© Av‡Q| c„w_exi A‡bK †`kB ZLb g‡b Ki‡Q, GB divwm mgªvU GKUv †Kv‡bv Kj¨vY e‡q Avb‡e| †¯úbxqiv ZvB †b‡cvwjq‡bi ˆmb¨‡`i AvMg‡b GKUv wKQy cÖZ¨vkv K‡i ¯^vfvweK Rxeb hvcb K‡i Pjj| wKš‘ NUbv NUj Ab¨iKg, Pvjm©‡K mwi‡q †b‡cvwjqb ¶gZvq emv‡jb Pvj©‡mi cyÎ dvw`©bv›`‡K| †k‡l dvw`©bv›`‡K AcmviY K‡i Awfwl³ Kiv n‡jv †b‡cvwjq‡bi fvB †hv‡md‡K| Gevi b‡oP‡o emj gvw`ª‡`i Awaevmxiv| †b‡cvwjqb ÎvZv wn‡m‡e Av‡mwb| Zv‡`i Rb¥f~wg `Lj K‡i wb‡q‡Q| cÖ_‡g ïi“ n‡jv †Pviv‡Mvßv nvgjv| †g gv‡mi 2 Zvwi‡L †¯úbxq †Mwijv nvgjvUv fv‡jvB n‡jv| wKš‘ 3 Zvwi‡L †b‡cvwjq‡bi ˆmb¨iv wnsmªZvi Pig cÖKvk NUvj| †¯úbxq‡`i a‡i G‡b `j †eu‡a nZ¨v Ki‡Z ïi“ Kij| A‡bK wbixn bvix-cyi“l I wkïi eyK we`xY© n‡jv †b‡cvwjq‡bi ˆmwbK‡`i ¸wj‡Z| me‡k‡l 15 Ryb mviv‡Mvmvq †¯úbxq †Mwijv‡`i Kv‡Q civRqeiY Kij †b‡cvwjqb evwnbx| BD‡iv‡ci BwZnv‡m GB hy× †cwbbmyjvi hy× wn‡m‡e AvL¨vwqZ| †b‡cvwjq‡bi cZ‡bi myiI GLv‡bB †e‡R I‡V| ¯^vaxbZvhy× wb‡q hZ i³vc­yZ Qwe AuvKv n‡q‡Q Mq¨vi Ô3iv †gÕ Zvi g‡a¨ me©cÖ_g| G Qwe‡K MYnZ¨vi me‡P‡q gg©¯úkx© wkwíZ `wjj ejv nq|

†b‡cvwjq‡bi evwnbxi †h gvgjyK ˆmb¨wU †¯úbxq †Mwijvi ¸wj‡Z wbnZ nq Zv Qy‡owQj Mq¨vi k¦ïiKz‡ji GK AvZ¥xq| BwZnv‡m †jLv Av‡Q Mvweª‡qj ev‡jm bv‡g Mq¨vi k¨vwjKvi GK AvZ¥xq cÖ_g ¸wj †Qv‡o| Mq¨vi †Q‡jI ¯^P‡¶ †`‡L‡Q GB hy×| Avi Gw`‡K ewai Mq¨v gviYv‡¯¿i gg©we`vix kã ïb‡Z bv †c‡jI bxie †Pv‡L †`‡L‡Qb †b‡cvwjq‡bi wbôziZv I †¯úbxq‡`i exiZ¡|

hy‡×i aŸsmhÁ †`Lvi Rb¨ Mq¨v‡K AvbyôvwbKfv‡e mviv‡Mvmvq Avgš¿Y Rvbv‡bv n‡qwQj| †mB `„k¨ †`‡L wkíx Mq¨v †h bZzb Rb¥ jvf K‡i‡Qb Zvi A‡bK `„óvš— †e½j M¨vjvwii cÖ`k©bx‡Z `k©K Abyfe K‡i‡Qb|

Ô3iv †gÕ-†Z Avgiv †`wL wbixn wbi¯¿ RbZvi wecix‡Z gviYv¯¿ DuPv‡bv mvwie× †mbv‡`i| QwewUi GK we‡kl gvnvZ¥¨ Gi K‡¤úvwRkb I Qwei Pwiθ‡jvi wbe©vPb| bvbv eq‡mi bvix-cyi“l-wkï wfbœ wfbœ Awfe¨w³‡Z g„Zz¨i gy‡LvgywL `uvwo‡q| GKRb Amg mvnmx gvbyl `ynvZ DuwP‡q Rvbvb w`‡”Q ¯^‡`‡ki Rb¨ g„Zz¨eiY gnr, Av‡iKRb weg~p| †KD gv_v byB‡q avZe †k‡j we`xY© nIqvi fq‡K †X‡K ivL‡Z Pv‡”Q| B‡Zvg‡a¨ GK `dv nZ¨v Kiv n‡q‡Q| Zv‡`i g„Z‡`n Ñ †`n †_‡K †ewi‡q Avmv jvj Dò i³‡mªvZ Qwei cy‡iv Rwgb c­vweZ K‡i †i‡L‡Q| Pviw`K AÜKvi| nZ¨vKvÊ Pj‡Q iv‡Z| GKUv njy` j¨v¤ú †_‡K Av‡jv †ewi‡q Avm‡Q| `~‡i †`qv‡ji Avovj †_‡K K‡qKRb gvbyl †`L‡Q G nZ¨vKvÊ| mv`v †cvkvK civ †`k‡cÖwgK †h hyeK `ynvZ DuwP‡q ¯^‡`‡ki ¯^vaxbZvi Rb¨ g„Zz¨‡K wbf©‡q Avwj½b Ki‡Z cÖ¯‘Z Zvi †`nB j¨v‡¤úi Av‡jvq me‡P‡q D¾¡j| Gfv‡e g„Zz¨‡K bq, civRq‡K bq, †`k‡cÖg‡K GK wfbœgvÎv w`‡q c„w_exi †kÖô gyw³hy‡×i wPÎwkí iPbv K‡i‡Qb Mq¨v|

Leave a Reply