রাজন খাটিওয়াদা
প্রতিভাবান তরুণ নেপালি অভিনেতা রাজন খাটিওয়াদা এসেছিলেন প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব ২০১১-এ অংশ নিতে। তাঁর অভিনীত মাইলা ডট কম নাটকটি ঢাকার দর্শক মহলে বিপুলভাবে প্রশংসা লাভ করে। আর এ নাটকের নাম ভূমিকায় তাঁর অনবদ্য অভিনয় ঢাকার দর্শক মনে রাখবে দীর্ঘদিন। এই অভিনেতার একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার শিল্প ও শিল্পীর পক্ষে গ্রহণ করেন অলোক বসু। সাক্ষাৎকারটি পত্রস্থ করা হলো :
শিল্প ও শিল্পী : আপনারা এত সুন্দর পারফর্ম্যান্স দেখালেন আজ, যা সত্যিই অতুলনীয়। নেপালের থিয়েটার সম্পর্কে জানতে আগ্রহ বোধ করছি। যদি কিছু বলতেন?
রাজন : নেপালে এখন এক ধরনের রেনেসাঁস চলছে। থিয়েটার নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হচ্ছে। সবাই থিয়েটারের প্রতি দিন দিন আগ্রহী হচ্ছে।
শিল্প ও শিল্পী : কী ধরনের থিয়েটার হচ্ছে ওখানে?
রাজন : নানান রকম। ধরুন, প্রসেনিয়ামে তো হচ্ছেই, এর বাইরে পথনাটক হচ্ছে, ফোরাম থিয়েটার হচ্ছে। এক একজন এক এক উদ্দেশ্য নিয়ে থিয়েটার করছে।
শিল্প ও শিল্পী : প্রসেনিয়ামের কথা বলছিলেন, সে বিষয়ে আরো একটু বিস্তারিতভাবে জানতে চাইছি।
রাজন : কাঠমান্ডুতে এখন চার-পাঁচটি অডিটোরিয়াম আছে। প্রতি সন্ধ্যায় না হলেও থিয়েটার নিয়মিতভাবেই হচ্ছে নেপালে। এর মধ্যে সরকারের উদ্যোগে যেমন হচ্ছে, এর বাইরেও হচ্ছে, নানা রকম রেপার্টরিও গড়ে উঠছে।
শিল্প ও শিল্পী : আপনাদের ওখানে আইটিআইয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে যদি একটু ধারণা দিতেন?
রাজন : আমাদের ওখানে আইটিআই আছে। নানা রকম কাজও হচ্ছে আইটিআইয়ের পক্ষ থেকে। তবে বাংলাদেশ আইটিআই যা করেছে, তা আমাদের কাছে অকল্পনীয়। আমরা তো এত বড় একটা উৎসব করার কথা ভাবতেই পারি না।
শিল্প ও শিল্পী : এরকম একটা উৎসব থেকে আপনি কী পেলেন?
রাজন : এই যে ঢাকার দর্শকদের ভালোবাসা। তাছাড়া এরকম
উৎসব হলে চিন্তা-ভাবনার আদান-প্রদান ঘটে, যা নাটকের জন্য খুবই জরুরি।
শিল্প ও শিল্পী : বাংলাদেশের নাটক সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
রাজন : এবার উৎসবে ঢাকার নাটক দেখা হয়নি। তবে আমি ঢাকার নাটক আগে দেখেছি। অনেক ভালো মানের নাটক হচ্ছে ঢাকায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
শিল্প ও শিল্পী : আপনাকে ধন্যবাদ।
রাজন : আপনাকেও ধন্যবাদ।